ক্রীড়া ডেস্ক
তানজিম সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণের পরপরই নারীদের প্রতি তার বিদ্বেষমূলক মনোভাব বেরিয়ে এসেছে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস, জাতীয় সংগীতের প্রতিও তার বিরূপ মনোভাব এখন সর্বজনবিদিত। কয়েক দিন ধরে মিডিয়ায় তোলপাড় হলেও এখনো পর্যন্ত তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেননি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) এ বিষয়ে চুপ।
তাহলে কী হবে তানজিমের?
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা একজন ক্রিকেটার এভাবে নিজ দেশের বিজয় দিবসের প্রতি, জাতীয় সংগীতের প্রতি, নারীদের প্রতি, ভিন্নধর্মীদের প্রতি এমন বিদ্বেষমূলক মনোভাব প্রকাশ করেন, যা সবাইকে বিস্মিত করেছে! বিশ্বক্রিকেটে এমন ঘটনা রীতিমতো বিরল! বছর দুয়েক আগে ভাইরাল হয়েছিল এক নারীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইনের কিছু আপত্তিকর চ্যাটিংয়ের স্ক্রিনশট। এরপর তিনি অধিনায়কত্ব থেকে ইস্তফা দেন। ক্যারিয়ারও শেষ হয়ে যায়। তাই ক্রিকেটাররা এসব ক্ষেত্রে ভীষণ সতর্ক থাকেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বৈষম্যবিরোধী নীতিমালায় বলা আছে, ‘এখানে স্পষ্টতই বৈষম্যের কোনো স্থান নেই।’ এতে আরো বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের অন্যতম কঠিন খেলার এই নীতি জাতি, বর্ণ, ধর্ম, বংশ, সংস্কৃতি, জাতিগত উৎস, জাতীয়তা, সেক্স এবং জেন্ডার, যৌন অভিযোজন, অক্ষমতা, বৈবাহিক অবস্থা এবং মাতৃত্বের অবস্থা নির্বিশেষে সকল স্তরের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রচার এবং উৎসাহিত করার জন্য আইসিসি এবং এর সদস্যদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করে। সেই সাথে এটা নিশ্চিত করে যে, খেলাধুলায় কোনো বৈষম্যের স্থান নেই।’
অর্থাৎ আইসিসির নীতিবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন তানজিম সাকিব। শুধু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেই নয়, আইসিসির এসব নীতি ঘরোয়া ক্রিকেটেও প্রযোজ্য। মাঠের খেলায় এর শাস্তি হতে পারে আজীবন নিষেধাজ্ঞা। আইসিসির বৈষম্যবিরোধী নীতিতে স্পষ্ট বলা আছে, ‘অংশগ্রহণকারীদের জন্য বৈষম্যবিরোধী কোড―যেখানে মাঠের বৈষম্যকে সবচেয়ে গুরুতর কাজগুলোর অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ধরনের অপরাধে যে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা পেতে হতে পারে।’ তানজিম সাকিব মাঠের বাইরে নিজের বৈষম্যমূলক মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে বিসিবি বেশ বিব্রত।
Leave a Reply