অনলাইন ডেস্কঃ শিশুদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে দেশে ৪০ থেকে ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগে আক্রান্ত, যাদের বেশির ভাগেরই বয়স ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে।
শিশুদের কিডনি রোগের লক্ষণ-
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা ও মুখ ফুলে যাওয়া, পা ফুলে যাওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়া।
প্রস্রাবের অস্বাভাবিক রঙ যেমন গাঢ় লাল, চা বা কফির মতো রঙ; প্রস্রাব হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত না হওয়া।
ঘন ঘন প্রস্রাব করা, অস্বাভাবিক দুর্গন্ধ, জ্বালাপোড়া, পেট ব্যথা, বমি, জ্বর ইত্যাদি।
কিছুদিন পরপর জ্বর হওয়া, পাঁচ বছরের অধিক বয়সের পরও বিছানায় প্রস্রাব করা; বয়স অনুপাতে শারীরিক বৃদ্ধি না হওয়া, কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ।
জন্মের পর থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব করা, ছেলেদের প্রস্রাব দূরে না যাওয়া, প্রস্রাব করার সময় অতিরিক্ত কান্নাকাটি করা। কিডনিতে পানি জমা পেটের এক বা উভয় পাশে বা তলপেট ফুলে যাওয়া।
এসব লক্ষণ দেখা গেলে অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
আরও পড়ুন জামরুলের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
শিশুদের কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয়-
শিশুকে পরিমিত পরিমাণ পানি খাওয়ান, বিশেষ করে ডায়রিয়া বা জ্বর হলে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়ান।
শিশুদের শরীরে খোসপাঁচড়া বা গলাব্যথা হলে তা অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া উচিত।
অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
শিশুর খাদ্য তালিকায় প্যাকেট জাতীয় খাবার ও পানীয় নিয়ন্ত্রণ করা।
শিশুর প্রস্রাব কম হলে বা শরীর ফুলে গেলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।
শিশুদের প্রস্রাবের সঙ্গে ব্যথাযুক্ত বা ব্যথাহীনভাবে রক্ত গেলে সঙ্গে সঙ্গে শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। অযথা টয়লেট চেপে না রাখা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে শিশুদের মূত্রনালির সংক্রমণ অনেকাংশে কমে যায়।
অধ্যাপক ডা. সনৎ কুমার বড়ুয়া, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিভাগ; চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ।
তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা