সম্পাদকীয়ঃ প্রতিবছর হজের মৌসুম আসলে সরকারের তরফ থেকে প্রতিশ্রুতির ঢালা মেলে ধরা হয়, জানানো হয় বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা। বলা হয়, অতীতে যেসব সমস্যা হয়েছিলো তা আগামিতে থাকবে না। কিংবা হজের খরচ কমছে অথবা হাজীদের জন্য সরকারি পর্যায়ে থাকছে আরো সুব্যবস্থা; এ ধরনের প্রস্তাব। কিন্তু বাস্তবে তা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়? নাকি তদারকির শিথিলতায় হাজীদের দুর্ভোগ কমে না।
আমাদের দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের অধিকাংশ সারাজীবনের সঞ্চয় ভেঙ্গে আল্লাহর ঘর দেখার বাসনা করেন। এক্ষেত্রে বরাবরের মতো সরকারের ব্যবস্থাপনার প্রতি বিশ্বাস রেখে সরকারিভাবে হজে যেতে চান অনেকে। কিন্তু এ সেবার ক্ষেত্রেও নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নীতি নির্ধারকদের উদাসীনতার প্রমাণ পায় আমরা। এজন্যই কি এবার সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে সরকারি পর্যায়ের হজযাত্রী কমেছে?
আরও পড়ুন সৌদি সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে: হজ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাচ্ছেন ৯ হাজার ৯৬৮ জন। আর বেসরকারিভাবে যাচ্ছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। সব মিলিয়ে হজে যাচ্ছেন ৮৮ হাজার ৮৬৩ জন। বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত বাকি ৪৪ হাজার ৪৩টি কোটা ফাঁকায় থাকছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে হজ করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ১০ হাজার ৩৫ এবং বেসরকারিভাবে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন ছিলেন। ৭ হাজার ৫০৩ জন হজযাত্রীর কোটা পূরণ হয়নি সেবার। এটা কী হজ ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু করতে না পারার কারণে হচ্ছে?
সৌদিতে আল্লাহর ঘর তাওয়াফের উদ্দেশ্যে যারা যাচ্ছেন, তাদেরকে যেভাবে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। অন্যথা হজ বিমুখ নয় রাষ্ট্রীয় অন্যান্য সেবা মাধ্যমের মতো এ খাত থেকেও বিমুখ হয়ে পড়বে জনগণ।