আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: সোনাকানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঠের দাবি

সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঠের দাবি


বিদ্যালয় কতৃপক্ষঃ সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংযুক্ত জায়গাটি (মাঠটি) বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন করে দেয়ার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, ১৮৮৫ সালে সামিয়ার পাড়ায় ৩৩ শতক জায়গায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি সামিয়ার পাড়ার দক্ষিণে মির্জাখীল সড়কের পাশে মরহুম ইসমাইল চেয়ারম্যানের বাড়ির সম্মুখে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বিদ্যালয়টির প্রাপ্য ভূমি এখনও অবধি বিদ্যালয় কতৃপক্ষ বুঝে পায়নি। এজন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, প্রাত্যহিক সমাবেশ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কার্যাদি সম্পন্ন করতে কতৃপক্ষকে নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাছাড়া জায়গাটি অসমান হওয়ায় এতে প্রায়শই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রেও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় জায়গাটি স্কুলের নামে পাওয়ার জন্য সাবেক প্রধান শিক্ষক শর্মিলা চৌধুরী আবেদন করেছিলেন। আবেদনটি উপজেলা পরিষদ থেকে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে পৌঁছে। কিন্তু এখনও অবধি বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। বিষয়টির শীঘ্রই সুরাহা করার জন্য বিদ্যালয়টির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সরকার ও এলাকাবাসীর সহযোগীতা কামনা করেছেন।

সম্প্রতি সাতকানিয়া মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি শিক্ষানুরাগী নুরুল আবছার চৌধুরীকে বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিষয়টি অবহিত করেন এবং তার সহযোগীতা কামনা করেন।

এসময় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে তার উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ‘মাঠ নাই, মাঠ ছাড়া আনন্দ নাই, মাঠ চাই, মাঠ চাই’, খেলতে চাই, হাসতে চাই, তার জন্যে মাঠ চাই’ সহ বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান দিতে থাকে। তাঁদের হাতে ছিলো এ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন।

নুরুল আবছার চৌধুরী এসময় বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘জায়গাটি স্কুলের অধীনে পাওয়ার জন্য অতীতেও আমি উপজেলা পরিষদের সভায় আবেদন জানিয়ে স্কুল কতৃপক্ষকে সহযোগীতা করেছি। বর্তমানেও মাঠটি (জায়গাটি) বিদ্যালয়ের অধীনে হয় মতো, যাদের উদ্যোগে বিদ্যালয়টি সামিয়ার পাড়া থেকে এখানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁদের সহযোগীতা কামনা করছি।’

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মাহবুব বলেন, ‘বিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত জায়গাটি (মাঠ) যাতে বিদ্যালয়ের অধীনে আসে সেজন্য আমরা স্থানীয়দের সহযোগীতা চেয়েছি। তাছাড়া জায়গাটি যেহেতু নিম্নভূমি তাই সেটি ভরাটের বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রাক্কলন পাঠিয়েছি।’


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর