স্পোর্টস ডেস্ক
শ্রীলংকা শুরুটা যেভাবে করেছিল, তাতে অনায়াসেই তিনশ রান চোখ রাঙানি দিচ্ছিল বাংলাদেশকে। তবে তানজিম হাসান সাকিব একশ রানের আগেই লংকানদের তিন উইকেট তুলে নিয়ে সেই ভয় কমান। পরে ৩ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামও। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭ বল বাকি থাকতেই ২৫৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লংকানরা এদিন শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত। প্রথম দলীয় ৫০ রান করে মাত্র ৪০ বলে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে না থাকলেও ওয়ানডেতে দলে ঢুকেই দারুণ সব টাইমিং করতে থাকেন নিশাঙ্কা। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে রান তুলতে ব্যর্থ আবিষ্কাও ছিলেন হাতখোলা। এই দুজনের ঝড় থামে দশম ওভারের পঞ্চম বলে, শ্রীলংকার রান তখন ৭১। তানজিম হাসান সাকিবের করা দ্বিতীয় ওভারে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন আবিষ্কা। ৩৩ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন তিনি।
প্রথম দশ ওভারে ওই ১ উইকেট হারিয়েই ৭১ রান তোলে লংকানরা। নিজের তৃতীয় ওভারে আবারও সাকিবের আঘাত। এবার স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান নিশাঙ্কাকে। ২৮ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। সাকিব ‘শো’ সেখানেই শেষ হয়নি। নিজের করা চতুর্থ ওভারেও উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। দলীয় ১৪তম ওভারের প্রথম বলে নতুন নামা সাদিরা সামারাবিক্রামাকেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। উড়তে থাকা শ্রীলংকা হঠাৎ ৩ উইকেট হারিয়ে হয়ে পড়ে দিশেহারা।
চতুর্থ উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েন মেন্ডিস ও লিয়ানাগে। এই দুজন বেশ ধীরগতিতে রান করেছেন। ১২৮ রানের মাথায় মিরাজের দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হন আসালঙ্কা। এরপর মেন্ডিসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন লিয়ানাগে। তিনি ব্যাটিংয়ে নামার পরই চিত্র বদলে যায়। দারুণ স্ট্রাইকে রান তুলতে থাকেন তারা। ৬৮ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়ে ১৯৭ রানের মাথায় ফেরেন মেন্ডিস। ততক্ষণে হাফ সেঞ্চুরি হয়ে গেছে তার।
এরপরে উইকেটে নেমে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২২১ রানের মাথায় তাসকিনের বলে ফেরেন এই তারকা। তবে আরেক পাশে দারুণ খেলতে থাকা লিয়ানাগে ঠিকই দারুণ খেলতে থাকেন। ৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে তুলে নিয়েছেন তৃতীয় ফিফটি। ২২৫ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে ফেরেন মহেশ থিকসানা। ২৪৪ রানে লিয়ানাগেকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ৬৯ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৫৫ রানে অলআউট হয় লংকানরা।