আজ ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ক্রেস্ট প্রদান করছেন চসিক মেয়র

চট্টগ্রামে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ হাতছাড়া হচ্ছে ৪ কারণে


অনলাইন ডেস্কঃ প্রশাসনিক জটিলতা, ভিসা সহজীকরণ, শুল্ক হ্রাস এবং পর্যাপ্ত ডলার প্রাপ্তি সংকটের মতো চারটি সমস্যার সমাধান করলে চট্টগ্রামে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ দ্রুত বাড়বে বলে জানিয়েছেন দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) কার্যালয়ে মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।

সভায় মেয়র চট্টগ্রামে দ. কোরিয়ার বিপুল অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং ভবিষ্যতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, চট্টগ্রামে দ. কোরিয়ার ইয়ং ওয়ানসহ বেশ কিছু বড় বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠান আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন। নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এছাড়া নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনেও নেয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প। নির্মাণ হচ্ছে বে-টার্মিনাল। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, দ. কোরিয়া এই সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি আমদানির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া এগিয়ে যেতে পারে বাণিজ্য প্রতিযোগিতায়।

আরও পড়ুন দেনামুক্ত চসিক হবে প্রকৃত জনসেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান: মেয়র

দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এ প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে দ. কোরিয়ার ৬০টি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দ. কোরিয়া বিভিন্ন খাতে আরো বিনিয়োগ করতে চায়। তবে, চারটি সমস্যার সমাধান হলে বাংলাদেশে দ. কোরিয়ার বিনিয়োগ দ্রুত বাড়বে। প্রথমত, বাণিজ্য কার্যক্রম সহজ করতে বাংলাদেশ সরকার ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করলেও ব্যবসার সুযোগ বাড়াতে স্বচ্ছতা ও প্রশাসনিক গতিশীলতা আরো বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, ভিসা
পাওয়ার পথ আরো সহজ করতে হবে। তৃতীয়ত, দ. কোরিয়ান বিনিয়োগকারীরা বহিঃশুল্ক কমানো উচিৎ বলে মনে করেন। চতুর্থত, ডলার সংকটের ফলে অর্জিত মুনাফা ডলার আকারে ফেরত নিতে সমস্যা না হলে এবং কাচামাল আমদানিসহ বাণিজ্যিক কাজে ডলারপ্রাপ্তি সহজ হলে বাংলাদেশে দ. কোরিয়ার বিনিয়োগ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, দ. কোরিয়া দূতাবাসের কনসাল কিম জিয়ং কিসহ দেশটির একটি প্রতিনিধিদল।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর