মো. শোয়াইব, হাটহাজারীঃ উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের অংকুরিঘোনা বেড়িবাঁধ সড়কের চেংখালি স্লুইচ গেইটটি ধসে পড়ে বিলীন হয়ে যাওয়ার প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত সেটির পুন:নির্মাণ কিংবা করা হয়নি। ফলে হালদা নদীর শাখা চেংখালী খালের দুই পার্শ্বের জমিতে চাষাবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে দুই পার্শ্বের জনসাধারণের তো বটেই সড়কে যানচলাচলও প্রায়শঃ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেড়িবাঁধ অকোজো হয়ে পড়ার কারনে জোয়ারের সময় এ অঞ্চলে বাড়ী-ঘরে, ক্ষেত খামার তলিয়ে যাচ্ছে। মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে স্থানীয় স্কুল কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও হালদা নদীর প্রবল জোয়ারে শত শত একর কৃষি জমিতে চাষাবাদও করতে পারছেন না স্থানীয় কৃষকেরা।
জানা গেছে, ১৯৮০ সালের দিকে স্থাপিত উপজেলার গড়দুয়ারা ও রাউজান উপজেলার পশ্চিম গহিরা অংকুরিঘোনা বেড়িবাঁধ সড়ক দিয়ে স্লুইচ গেইট হয়ে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়কে যাওয়ার সহজ মাধ্যম ছিলো এটি। সেখান থেকে উপজেলা সদরে যাতায়ারের পথও ছিলো খুব সহজ। ২০২২ সালের শুরুতে বেড়িবাঁধ ও স্যুইসগেট ভেঙে হালদার শাখা খাল চেংখালী খালে তলিয়ে যাওয়ায় ওই সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আছে। আর স্লুইচ গেইট না থাকায় প্রতিদিনই জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। যার ফলে ওখানকার শত শত পরিবারকে প্রতিদিনই চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন মহাসড়কে নেই ডিভাইডার, হাটহাজারীতে ঝরেছে শিশুসহ ৭ জনের প্রাণ
স্লুইচ গেইট এলাকার দোকানদার কামাল সওদাগর ও পূর্ব মেখল সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ইউছুপসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, স্লুইচ গেইট ও বেড়িবাঁধ ভেঙে পড়ার প্রায় দুই বছর এক মাস চলে যাচ্ছে অথচ এখনো কোনো উদ্যোগ দেখছি না। বেড়িবাঁধ ও স্লুইচ গেইট ভেঙে যাবার কারনে আস্তে আস্তে এখানকার চাষাবাদের জমি ও বাড়ি ঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আমরা এলাকাবাসীরা ওই ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ ও স্লুইচ গেইট পুন:নির্মাণ করে এলাকাবাসীদের দূর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মশিউজ্জামান জানান, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সম্পর্কে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব ডেভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার শাহীন বাদশা জানান, ইতোমধ্যে এটার টেন্ডার হয়ে গেছে। শিগগিরই ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। আর এ বছরেই কাজ শুরু হবে যা শেষ হতে আনুমানিক দুই বছর সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।