অনলাইন ডেস্কঃ শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২০২১ সালের ১ মার্চ ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ পরিকল্প উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে দু’বছর পেরিয়ে এ প্রকল্প এগুচ্ছে ধীরগতিতে। এ কারনে দেশের সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এ প্রকল্পের আওতায় আনতে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবিমার আওতায় আনতে চায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি প্রতিটি জেলার সব শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা প্রকল্পের আওতায় আনতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকদের এ চিঠি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন ৫ম জাতীয় বীমা দিবস পালিত
চিঠিতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২০২১ সালের ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পরিকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আইডিআরএর তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পরিকল্প জীবন বীমা করপোরেশনের মাধ্যমে প্রথমে দুই বছরের জন্য সীমিত পরিসরে পাইলটিং করা হয়। ২০২৩ সালে এটি সব জীবন বীমা কোম্পানির মাধ্যমে বাজারজাতকরণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ফলে গত বছরে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে প্রায় ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী এ বীমা পরিকল্পের আওতায় এসেছে। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সব স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের এ বীমার আওতায় আনা হয়েছে। যার সংখ্যা প্রায় ২ লাখ।
বছরে মাত্র ৮৫ টাকা প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে এ বীমার আওতায় আসার পর, কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবকের শারীরিক অক্ষমতা বা মৃত্যুতে শিক্ষার্থীর বয়স ১৭ বছর হওয়া পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি পাবে, যা শিক্ষার্থীর পড়াশোনা চলমান রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বার্ষিক প্রিমিয়াম আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করে, বর্ধিত বীমাসুবিধা (মাসিক বৃত্তি) পাওয়া যাবে।
তথ্যসূত্র: সময়নিউজ