তিস্তাসহ ৫৪ নদীর ন্যায্য পানির হিস্যা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃঢ় পদক্ষেপ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদে তাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে তিনি মনে করেন এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে ভারত।
প্রধানমন্ত্রীর ৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফরের আগে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) তাদের ওয়েব সাইটে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে।
এএনআইয়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় শেখ হাসিনা স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশে দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার উপস্থিতি তার শাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। এখন তাদের দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এক্ষেত্রে ভারত মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমি মনে করি।
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনাকে তিস্তাসহ অভিন্ন আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে তার দেশের সহযোগিতার বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, চ্যালেঞ্জ থাকলেও সেগুলো এমন কিছু নয় যা পারস্পরিকভাবে সমাধান করা যায় না।
তিনি বলেন, তবে এটা খুবই দুঃখজনক যে, আমরা একটি... আপনি জানেন... এটি ঝুলে আছে। ভারত থেকে আমাদের দেশে পানি আসে, তাই ভারতের আরও উদারতা দেখাতে হবে। কারণ এতে উভয় দেশই লাভবান হবে। কখনও কখনও পানির অভাবে আমাদের জনগণও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে তিস্তায় (পানি না পেয়ে) আমরা ফসল রোপণ করতে পারিনি এবং আরও অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই আমি মনে করি এর সমাধান হওয়া উচিত। অবশ্য, হ্যাঁ আমরা দেখেছি- প্রধানমন্ত্রী (মোদি) ...আপনি জানেন... এই সমস্যাটি সমাধান করার জন্য অনেক আগ্রহী, কিন্তু সমস্যাটি আপনার দেশেই। তাই... আমরা আশা করি এটি (সমাধান) হবে, আপনি জানেন... এটি সমাধান করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, দুই দেশ গঙ্গা নদীর পানি ভাগ করে নিয়েছে। শুধু গঙ্গার পানি আমরা ভাগ করি। আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। কিন্তু আমাদের আরও ৫৪টি নদী আছে। হ্যাঁ... তাই এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা, এটি সমাধান করা উচিত।
(এএনআই)