আজ ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভারত ছেড়ে আরব আমিরাতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা


অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের সদ্য পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভারত ছেড়েছেন বলে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে। যদিও নিশ্চিতভাবে কোন সূত্রই বিস্তারিত জানায়নি যে, তিনি কখন কিভাবে ভারত ছেড়েছেন। তবে তিনি আরব আমিরাতের আজমান শহরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আরব আমিরাতের আজমানে শামীম ওসমানের নিজের একটি বাড়ি আছে বলে শোনা গেছে।

এর আগে পদত্যাগ করেই দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। দেশত্যাগের পর তিনি ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন।

সেখান থেকে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের কয়েকবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ব্যর্থ হন।

এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে দেশটি রাজি হয়নি। ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতও শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে শ্রেফ মানা করে দেয়।

কোন প্রেক্ষাপটে এবং কি শর্তে শেষমেশ আরব আমিরাত আজমাইন শহরে শেখ হাসিনাকে আশ্রয়ের অনুমতি দিয়েছে সে সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে থাকার ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যায় বেশ কিছুদিন আগেই।

এদিকে আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে মোদি সরকারকে দেশের ভেতরে-বাইরে যথেষ্ট চাপের মুখে পরতে হয়েছে। মোদি সরকারকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বলে বেশকিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়।

আরব আমিরাতের আজমাইনে শেখ হাসিনা ঠিক কতদিন অবস্থান করবেন এবং তার পরবর্তী গন্তব্য কোথায় সে বিষয়েও নিশ্চিত করে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য গত ৫ আগষ্ট বাংলাদেশে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন।

এর ফলশ্রুতিতে সেনা সমর্থিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতাভার গ্রহন করেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জুলাই-আগষ্টের আন্দোলনে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পর থেকে শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলের দূর্ণীতি, অনিয়ম, দুঃশাসন আর অসংখ্য বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যাকান্ডের জন্য এই সাবেক সরকার প্রধানকে দেশে ফেরত এনে বিচারের দাবীতে এখনো ছাত্র-জনতা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার সোচ্চার ও সক্রিয় রয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর