স্পোর্টস ডেস্ক
শ্রীলংকার দেওয়া ২৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭ ওভারের মধ্যেই বাংলাদেশ হারিয়ে বসেছিল দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসকে। তবে তৃতীয় উইকেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দুর্দান্ত এক জুটিতে দলকে নিয়ে যাচ্ছেন জয়ের দিকে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৬ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। উইকেটে শান্ত ৭৮ রানে ও সাকিব ৫১ রানে অপরাজিত আছেন। জয়ের জন্য এখনো ১৪৪ বলে দরকার ১১২ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ তাদের প্রথম উইকেট হারায় তৃতীয় ওভারে। দিলশান মধুশঙ্কার বলে ১৭ রানের মাথায় ফেরেন তানজিদ। আরেক ওপেনার লিটন দাস শুরু থেকে সাবলীলই ছিলেন। চার-ছক্কায় ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ভালো কিছুর। তবে ৪১ রানের মাথায় সেই মধুশঙ্কার বলেই এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। এরপরই জুটি বাঁধেন সাকিব-শান্ত।
এর আগে, নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৩ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশের বিপক্ষে অলআউট হলেও ২৭৯ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে লংকানরা। প্রথম ওভারেই বিপদে পড়ে শ্রীলংকা। শরিফুল ইসলামের বলে কুশল পেরেরা শট খেলতে গেলে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। সেখানেই লাফ দিয়ে দারুণ এক ক্যাচ লুফে নেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। শ্রীলংকার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে ১২তম ওভারে ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় ১৯ রানে থাকা মেন্ডিস তুলে মারলেও বাউন্ডারি লাইন থেকে দারুণ ক্যাচ নেন শরিফুল ইসলাম। পরের ওভারেই ওভারে পাথুম নিশাঙ্কাকে ইনসাইডেজ বোল্ড করেন বিশ্বকাপ অভিষেক হওয়া তানজিম হাসান সাকিব। নিশাঙ্কা ৩৬ বলে ৪১ রান করেন।
৭২ রানে ৩ উইকেট হারানো শ্রীলংকার হাল এরপর ধরেন সাদিরা সামারাবিক্রামা ও চারিথ আসালাঙ্কা। ১৩৫ রানের মাথায় সাকিব ফেরান সাদিরাকে (৪১)। এরপরই সেই নাটুকে আউট হন ম্যাথিউস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে কোনো বল না খেলেই টাইমড আউট হন তিনি।
ম্যাথিউসের বিদায়েও একপাশে বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনো করতে থাকেন চারিথ আসালঙ্কা। ষষ্ঠ উইকেটে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে গড়েন ৭৮ রানের জুটি। দলীয় ৩৮তম ওভারের শেষ বলে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে দারুণ স্ট্যাম্পিং করেন মুশফিকুর রহিম। শ্রীলংকার রান তখন ২১৩। এরপর মহেশ থিকসানাকে নিয়েও ৪৫ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন আসালঙ্কা। ২৫৮ রানের মাথায় থিকসানার বিদায়ের পর ২৭৮ রানে অবশেষে আসালঙ্কা আউট হন। তবে এরই মধ্যে স্ট্রাইকরেট একশর ওপরে রেখে ১০৮ রান করে ফেলেন তিনি। আসালঙ্কাকে আউট করা সেই ৪৯তম ওভারেই নবম ব্যাটার হিসেবে কাসুন রাজিথাকে ফেরান তানজিম সাকিব। শরিফুল ইসলামের করা পরের ওভারেই অলআউট হয় লংকানরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৩ বল বাকি থাকলেও ২৭৯ রান করে তারা।
বল হাতে দলের সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিলেও এদিন ১০ ওভারে ৮০ রান দেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ৯ ওভার ৩ বল করে ২ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। এছাড়া সাকিবও ২টি এবং মিরাজ নেন ১টি উইকেট।
Leave a Reply