রাসেল তালুকদার:
সারা দেশের ন্যায় সোমবার (১৭ অক্টোবর) কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে ৫৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শাহীনুল হক মার্শাল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক সরকারি দলের প্রার্থী ও সাবেক সাংসদ এবং সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট। সোমবার বিকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষনা করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
শাহীনুল হক মার্শাল বলেন, এই বিজয় আমার পিতা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম মোজাম্মেল হক সাহেবকে উৎসর্গ করলাম। ১৯৭০’ সালে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে জাতির পিতার মনোনীত প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি একেএম মোজাম্মেল হক। সে সময়ে দল হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোজাম্মেল হককে পরাজিত করেন তরুন জনপ্রিয় নেতা মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম শাহদাৎ হোসেন বলেন, আমরা একটি সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জেলাবাসিকে উপহার দিয়েছি। জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলায় মোট ভোটার ছিল ৯৯৪। সেখানে ৯৮৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কাস্টিং ভোটে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৩৯৫ এবং বিদ্রোহী প্রার্থী শাহিনুল হক মার্শাল পেয়েছেন ৫৭৮ ভোট। চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র নুরুল আবছার পেয়েছেন ১ ভোট এবং মঙ্গপার্টির চেয়ারম্যান জগদিস বড়ুয়া পেয়েছেন ৯ ভোট। বাতিল হয়েছে ৫টি। ৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন নি।
এদিকে জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন সদরে মাহমুদুল হক মাদু, রামুতে ফরিদুল আলম, টেকনাফে জাফর আলম, উখিয়ায় হুমায়ুন কবির চৌধুরী, পেকুয়ায় এইচএম শওকত, চকরিয়ায় আবু তৈয়ব, ঈদগাঁওতে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় আরিফুল ইসলাম, কুতুবদিয়া নুরুল ইসলাম সিকদার ভোট্রো, মহেশখালীতে শহিদুল ইসলাম মুন্না নির্বাচিত হয়েছেন।এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে চাকরিয়া-পেকুয়া-কুতুবদিয়া থেকে তানিয়া আফরিন, উখিয়া-টেকনাফ-রামু থেকে আশরাফ জাহান কাজল ও কক্সবাজার সদর-ঈদগাঁও-মহেশখালী থেকে হুমায়রা বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।