আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

‘সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের উন্নয়নে প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন’


অনলাইন ডেস্কঃ সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের উন্নয়নে দেশের স্নাতক প্রকৌশলীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং, সেমিকন্ডাক্টর, বেসিক এআই এবং ভবিষ্যত ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে যথাযথ টপ-আপ প্রশিক্ষণ প্রদান করে আগামী এক দশকে দশ হাজার বিশেষজ্ঞ তৈরি করা সম্ভব। দ্রুত বর্ধনশীল বিশ্ব অর্থনীতির এই শিল্পের সম্ভাবনাটা আঁকড়ে ধরতে এরাই সম্পদ হিসেবে কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ‘ডেভেলপিং দ্য সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি. রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, এমসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন করীম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন চট্টগ্রামের আইটি মেলা উদ্বোধনকালে যা জানালেন প্রতিমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. রোকনুজ্জামান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইএক্সো ইমেজিং এর সিইও ড. ইউসুফ হক (ভার্চুয়াল) আলাদাভাবে দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ১০ বছর আগে, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং অ্যান্ড ম্যানুফাকচারিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স এবং সাইবার সিকিউরিটির মতো চারটা ভবিষ্যৎমুখী প্রযুক্তি সম্পর্কে গুরুত্ব সহকারে মনোনিবেশ করার জন্য বলেছিলেন। আজ ১০ বছর পরে, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কীভাবে এই সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিশ্ব অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে এবং রোবোটিক্স কীভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের প্রতিস্থাপন করছে, এমনকি সাইবার নিরাপত্তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, এই চারটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আইসিটি বিভাগ দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। আমরা আমাদের শিক্ষক, ছাত্র, গবেষক এবং উদ্যোক্তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের সুযোগ দিচ্ছি যাতে তারা বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতের উদ্ভাবনী পণ্য ও সমাধান তৈরি করতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটসহ দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের শিক্ষিত তরুণদের মাইক্রো চিপস ডিজাইনিং, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ডেটা অ্যানালেটিক্স, ক্লাউড কম্পিটিং প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলার জন্য হায়ার অ্যান্ড ট্রেনিং প্রোগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রকল্পের অধীনে ফ্রন্টিয়ার (অগ্রসর) টেকনোলজিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্ব করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করছি।
তিনি আরও জানান, ১০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বুয়েটের ক্যাম্পাসে একটা অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপন করা হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী, গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং সরকারসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তথ্যসূত্র: বাসস


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর