সৃজনশীল নেতৃত্ব ও অসাধারণ বক্তব্যের কারণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছেও জনপ্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের দাবি-দাওয়া আদায়ে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যার ফলে শিক্ষার্থীদের কাছে ভাবমূর্তি উন্নতি হয়েছে ছাত্রলীগের। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি একজন অসাধারণ নেতা। আর তাইতো গত ডাকসু নির্বাচনের সর্বাধিক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এজিএস। আর তৃণমূল ছাত্রলীগের কাছে তিনি যেন ‘ছাত্রলীগের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর’।
বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তার দেয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক এবং ইউটিউব এর মাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে সর্বত্র। সেখানে এসব বক্তব্যের ভিউ হয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন। শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া আদায়ে সৃজনশীল কর্মসূচির আয়োজন, সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে সর্বাত্মক সহায়তা, শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মীদের প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়ানো, সবসময় হাসিমুখে কথা বলা এবং সময়ের প্রয়োজনে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ সাদ্দামকে নিয়ে গেছে অনন্য জায়গায়।
মননশীল ও সৃজনশীল ছাত্রনেতা, শিক্ষার্থী বান্ধব আচরণ, আপোষহীন, বাকপটু, সুবক্তা, পরিচ্ছন্ন ইমেজের অধিকারী, এখনও পর্যন্ত ছাত্রজীবনে কোনো অপরাধের সঙ্গে তার নাম আলোচিত না হওয়া, আইন অনুষদের মেধাবী ছাত্র, ছাত্রদের প্রয়োজনে যে কোনো সমস্যায় এগিয়ে আসা, ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে অনন্য সম্পর্ক স্থাপন, প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার অধিকারী হওয়া ইত্যাতি নানা কারণে সাদ্দাম হোসেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিকট জনপ্রিয় নেতা।
মেধা, মনন ও প্রগতিশীলতা- এই তিনের মিশ্রণে দীর্ঘদিনের মরচে ধরা শেকলে কীভাবে নতুন প্রাণ দিতে হয় তা তিনি দেখিয়েছেন। দেখিয়েছেন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে থেকে কীভাবে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করতে হয়। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলেই প্রতীয়মান হয় শিক্ষার্থীদের কতটুকু আস্থাভাজন হতে পেরেছেন তিনি। দীর্ঘ আটাশ বছরের অচলায়তন ভেঙে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সাদ্দামের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি।
সাংস্কৃতিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বদলানো নিয়ে অবিরত কাজ করছেন এই নেতা। ঢাবি ছাত্রলীগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম লোকসংগীত উৎসব, প্রথমবারের মতো সমাবর্তনে কনভোসার্ট কিংবা আন্তঃহল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সেই পরিবর্তনের ফল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়। পরীক্ষার কেন্দ্র খোঁজা এবং সময় মতো সেখানে পৌঁছাতে পারা তাদের মধ্যে অন্যতম। পরীক্ষার্থীরা যেন চিন্তাহীনভাবে পরীক্ষা দিতে পারে, তার জন্য ঢাবি ছাত্রলীগ ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’ নামের একটি সেবা শুরু করেছে। ২০১৮ সাল থেকেই তারা এই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যেখানে ঢাবি ছাত্রলীগের কর্মীরা পরীক্ষার্থীদের সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়ে আসেন ঢাকার যেকোনো প্রান্তে। সাদ্দাম হোসেনের এই মডেলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি এখন বাংলাদেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও গ্রহণ করেছে।
করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের কাছে পরিবহন ফি আদায় করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি সাদ্দাম কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছে সেই অর্থ আবার ফেরত দিতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয়, লেদার ইন্সটিটিউটে অতিরিক্ত ফি আদায়, বিজ্ঞান অনুষদের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন কিংবা মেয়েদের হলের সময়সূচি বাড়ানো নিয়েও কাজ করে গেছেন ছাত্রদের এই প্রতিনিধি। শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকটি আন্দোলনে তাদের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে সেই দাবি আদায় পর্যন্ত কাজ করেছেন সাদ্দাম হোসেন।
আন্দোলনে যেমন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকেন, তেমনি বইমেলায় প্রত্যেক কর্মীকে বই কিনে দেওয়া, একসাথে সিনেমাহলে গিয়ে চলচ্চিত্র উপভোগ করা, মঞ্চনাটক উপভোগ করা, টি এস সিতে যাত্রা পালার আয়োজন করা, বাংলা চলচ্চিত্র মুক্তি পাবার আগে সবাইকে নিয়ে প্রচারণায় যাওয়া কিংবা একসাথে বৃষ্টিতে ফুটবল খেলা সবই করে থাকেন শিক্ষার্থীদের অলিখিত ক্যাপ্টেন সাদ্দাম হোসেন৷
মাঈন উদ্দিন হাসান নামের ছাত্রলীগের একজন কর্মী লিখেছেন, আলোর পথের দিশারী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড , সারা বাংলার ছাত্র সমাজের অহংকার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গর্ব প্রিয় সাদ্দাম ভাই। সারা বাংলার ছাত্র সমাজ অধীর আগ্রহ,আকাঙ্খা, মনের বাসনা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে, আমাদের দেশে হবে সে ছেলে কবে কথায় না বড়ো হয়ে কাজে বড় হবে, কুসুম কুমারী'র সে ভাবনার ছেলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসবে।
ইতিবাচক ছাত্রলীগের শিরোনাম হতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সাদ্দাম ভাইকে প্রয়োজন, সারা বাংলায় ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা কর্মীর মধ্যে, ভ্রাতৃত্ব,হৃদ্যতা তৈরি করতে সাদ্দাম ভাইকে প্রয়োজন, রাজনীতি বিমুখ ছাত্র সমাজ কে রাজনীতি মুখী করতে সাদ্দাম ভাইকে প্রয়োজন। শুভ কামনা প্রিয় সাদ্দাম ভাই। সারা বাংলার ছাত্র সমাজের দোয়া ও ভালোবাসা আপনার সাথে আছে আপনি এগিয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ্।