ডলারের বিপরীতে টাকার সর্বোচ্চ অবমূল্যায়ন লক্ষ্য করা গেছে। চলতি সপ্তাহের সোমবার প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৯৬ টাকা। একদিনের ব্যবধানে গতকাল প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা পর্যন্ত উঠেছে। আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে লেনদেন হওয়া ডলারের এ দরকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে একদিনের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে সাড়ে ১০ শতাংশেরও বেশি টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে। ডলারপ্রতি বিনিময় মূল্য ১০ টাকা ১৫ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে। আর গত ছয় মাসে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ২৩ শতাংশেরও বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এখন থেকে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। বরং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) পক্ষ থেকে ডলারের যে দর নির্ধারণ করা হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক সেটিই আমলে নেবে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাধ্য না হলে ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে কোনো ব্যাংকের কাছে আর ডলার বিক্রি করবে না। ব্যাংকগুলো নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রাবাজার থেকেই ডলার কিনবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ডলারের সর্বনিম্ন দর ঘোষণা করা হয়েছে ১০১ টাকা ৬৭ পয়সা আর সর্বোচ্চ ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা। ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা দরটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করল কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ঘোষণা দেয়নি। ভবিষ্যতেও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেবে না। বাফেদা ডলারের যে বিনিময় হার নির্ধারণ করেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটি আমলে নিল। কোনো ব্যাংক ঘোষণার বাইরে গিয়ে ডলার কেনাবেচা করছে কিনা সেটি আমরা তদারক করব।