মহান মুক্তিযুদ্ধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরের হালিশহর বিজিবি চট্টগ্রাম রিজিয়ন সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস-২০২২ উপলক্ষে প্রীতিভোজে অংশ নেন চসিক মেয়র। এসময় তিনি বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিজিবি তৎকালীন ইপিআর পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান রোধে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, নারী-শিশু পাচার রোধ, সীমান্ত এলাকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছে বিজিবি। সীমান্ত রক্ষাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা, দুর্ঘটনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলাসহ দেশগঠনমূলক বিভিন্ন কাজে বিজিবির ভূমিকা রয়েছে। বিজিবির পেশাদারিত্ব সবমহলে প্রশংসিত হচ্ছে ।
এদিকে বিজিবি দিবস উপলক্ষে বিজিবি চট্টগ্রাম রিজিয়ন সদর দপ্তরে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দুপুরে নগরের হালিশহর বিজিবি চট্টগ্রাম রিজিয়ন সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবি চট্টগ্রাম রিজিয়ন সদর দপ্তরের রিজিয়ন কমান্ডার বি. জেনারেল তানভীর গনি চৌধুরী, চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম সিএমসিএইচ কমান্ড্যান্ট বি. জেনারেল মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, এয়ার কমোডর সৈয়দ ফকরুদ্দিন মাসুদ, চট্টগ্রাম রিজিয়ন সদর দপ্তরের ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল এসএম আবুল এহসান ও এসিঅ্যান্ডএস সি আই স্কুল উইং কর্নেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব।
২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০ কার্যকরের মধ্য দিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে যুগোপযোগী করার কার্যক্রম শুরু হয়। বিজিবিকে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০ প্রণয়ন করেছে। নতুন চারটি সেক্টর ও ১৫টি ব্যাটালিয়ন ও ৯০টি বিওপিসহ মোট ১৬টি সেক্টর, ৫৭টি ব্যাটালিয়ন ও ৬৫০টি বিওপি নিয়ে বিজিবি সীমান্তে সর্বদা তৎপর রয়েছে।
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ২৪