আজ ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাখালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৫ ব্যাচের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত


ফজলুল করিম নাহিদ:

বন্ধু শব্দটি ছোট হলেও এর গভীরতা অনেক। বন্ধু মানেই শুধু একজন মানুষ নয়, বন্ধুত্ব এক অনন্য সম্পর্ক, যা জীবনে আনন্দ, ভালোবাসা, সহানুভূতি, সমর্থন এবং বিশ্বাসের মিশ্রণ। বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো জীবনকে করে তোলে আরও সমৃদ্ধ, আরও সুন্দর। বন্ধু আমাদের আবেগ বুঝতে পারে, আমাদের সাথে সহানুভূতি প্রকাশ করে, এবং আমাদের দুঃখ-কষ্টে পাশে থাকে। বন্ধু আমাদের স্বপ্ন ও লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করে, আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং আমাদের বিশ্বাস করে। বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো ভরা থাকে আনন্দ, হাসি, এবং মজার ছলে। বন্ধুদের সাথে আমরা আমাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, এবং গোপন কথা শেয়ার করতে পারি নির্ভয়ে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক ঝাঁক বাল্যকালের বন্ধুদের মিলন মেলা ঢাকা শহর থেকে একটু দূরে সিক্লাব নামে একটি অভিজাত রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হয়। এই মিলন মেলা শত ব্যস্ততাকে দূরে ফেলে মনের টানে লক্ষীপুর জেলা রায়পুর উপজেলার অন্তগত রাখালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৫ সালের ২১ জন বন্ধু মিলিত হয় সারাদেশ থেকে। বন্ধুত্বের বন্ধনকে অটুট রাখার জন্য হঠাৎ এই উদ্যোগ নেন ঢাকা অবস্থানরত বন্ধু শাহাদাত হোসেন চয়ন, জহিরুল ইসলাম বাপ্পি, ফজলে রাব্বি পরান। তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ছুঁটে আসেন সকল বন্ধুরা। বন্ধুদের মিলন মেলা উঠে আসে হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর স্মৃতির কথা শুরু হয় আনন্দ হাসিঠাট্টা মজার সব কথা।

এসময় দেশে থাকা সকল বন্ধুরা স্বরন করেন প্রবাসী বন্ধুের কথা। বন্ধুদের এই মিলন মেলা প্রবাসী বন্ধুরা উপস্থিত না হলে ভিডিও কলে সবার সাথে কথা বলে তাদের অনুপস্থিতি টা কিছুটা পূরন হয়। প্রবাসী বন্ধুরা এই মিলন মেলা সহযোগিতা করতে পেরে নিজেদের কে সৌভাগ্য মনে করেন।

উপস্থিত সকল বন্ধুদের মনের আবেগকে স্মৃতিচারণ করে রাখার জন্য প্রবাসী বন্ধুদের জন্য একটি সাদা টি-শার্টে লেখা হয় বন্ধু মানে কি। সকল বন্ধুদের বাল্য জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোকে ফিরে পাওয়ার জন্য আয়োজন করা হয় ফুটবল, ক্রিকেট, সাঁতার কাটা সহ অসংখ্য খেলাধুলার। খেলা শেষে বিজয়ীদের সহ সকল বন্ধুদের জন্য শান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়। এই মিলন মেলা সবার মতামতে উঠে আসে বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরো শক্তিশালী করতে রাখালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৫ সালের সকল বন্ধুদের বিপদ আপদ এবং সুখে-দুঃখে পাশের দাঁড়ানোর জন্য তৈরি করা হবে একটি ফাউন্ডেশন এবং প্রতিবছর যেন এ-ধরনের আয়োজন করা হয় তার জন্য বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় সকল বন্ধুদের পক্ষ থেকে আয়োজন করা বন্ধুদের প্রতি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর