আজ ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাতকানিয়ায় সন্ত্রাস থেকে রেহাই পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন


নিউজ ডেস্ক
সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজাদের দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ও চট্টগ্রাম ডিআইজির কাছে ‍আবেদন জানিয়েছেন সাতকানিয়ায় ৫নং আমিলাইষ ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দারা। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এক লিখিত পত্রে তারা এ আবেদন জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ও চট্টগ্রাম ডিআইজির বরাবর করা আবেদনে বলা হয়, সন্ত্রাসীরা সাবেক সরকার দলীয় কিছু সুবিধাবাদী নেতার যোগসাজশে এলাকায় বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। তাদের কর্মকাণ্ডে এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ আমিলাইষ ৬নং ওয়ার্ড মাহমুদুল হকের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন ও মোঃ ইউনুছ এর ছেলে কামরুল হাসাননের নেতৃত্বে যে কোন অবৈধ কাজ করিতে দ্বিধাবোধ করে না। তাদের বিরুদ্ধে  থানায় ও কোর্টে অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মামলা রহিয়াছে।

অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে এলাকার নিরীহ মানুষ অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করিতেছেন। তাহারা প্রায় সময়ই রাত্রীকালীন অবৈধ অস্ত্র নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করার নিমিত্তে মহড়া প্রদর্শন করে এবং রাত্রীকালীন এলাকার চলাচল পথে যে কোন ব্যক্তি তাহাদের ভয়ে একা একা চলাফেলা করিতে সাহস করে না। এলাকার কৃষি কাজে ব্যবহৃত পানির সেচ কাজে নিরীহ কৃষকদের নিকট হইতে বিভিন্ন কৌশলে চাঁদাবাজি করে থাকে। যদি তাহাদের চাহিত মতো চাঁদা প্রদান না করে, তাহলে হুমকি প্রদান করে যে, তাহাদের পরিচালিত কিশোর গ্যাং দ্বারা কৃষকদের ফসলী জমি সহ সেচ কাজ নষ্ট করিয়া দেন। এমনকি এলাকার কোন মেয়ের বিবাহ কালীন সময়ে তাহাদের কিশোর গ্যাং দ্বারা বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদা আদায় করে। বিবাদীগণের ভয়ে ও তাহাদের লালিত কিশোর গ্যাংদের ভয়ে এলাকার অসহায় পরিবারগুলো তাহাদের মান-সম্মানের ভয়ে নিরবে চুপ চাপ টাকা দিতে বাধ্য হয়। তাহাদের বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডের জন্য তৈরীকৃত কিশোর গ্যাংদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করিতে অক্ষম হইয়া পড়িয়াছে।

অত্র এলাকার স্কুল-কলেজ পডুয়া মেয়েরা আসা যাওয়ার পথে তাদের  পরিচালিত কিশোর গ্যাংদের হাতে উদ্যত্ত হওয়ার ভয়ে একা একা চলাফেরা করিতে সাহস পায় না, এতে করে অত্র এলাকার মেয়েদের পড়ালেখার অসুবিধা সম্মুখীন হইয়া পড়িয়াছে। তাদের ভয়ে এলাকার নিরীহ জনগণ এক প্রকার জিম্মি হইয়া আছে। তাহাদের পরিচালিত কিশোর গ্যাংদের হাত থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে জোর আহবান জানানো হয় লিখিত আবেদনে।

লিখিত আবেদনে আরো বলা হয়, গত ২৯/০৫/২০১৪ইং তারিখ রাত অনুমান ৯.০০ ঘটিকা হইতে ১০.৩০ ঘটিকার সময় মধ্যে পিকাপ ড্রাইভার মোঃ মহিউদ্দিন (২৮), ধানের ভাড়া আছে বলে ০১৮৭৮ ৫৯৫৯৬০ নাম্বার হইতে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে এনে আমিলাইষ শাহ্ পারওয়াল মুহাম্মদিয়া মাদ্রাসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সামনে রাস্তার উপর পিকাপ ড্রাইভার মহিউদ্দিনকে পিটিয়ে নিমর্মভাবে হত্যা করে। এই ঘটনায় মহিউদ্দিনের বাবা আলী আহমদকে থানায় গিয়ে অজ্ঞাতনামা ৮০/৯০ জন আসামী করে এজাহার দেন। মাহমুদুল হকের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন, মোঃ ইউনুছ এর ছেলে কামরুল হাসান, সিরাজুল ইসলাম এর ছেলে হেলাল উদ্দিন, বদিউল আলমের ছেলে জিহান,বদিউর রহমানের ছেলে বাবুল,আবুল হোসেন এর ছেলে সায়েম, নজির আহমদের ছেলে মো.হাসান, ফিরোজ আহমদের ছেলে জিয়াবুল হক,আবদুল মন্নানের ছেলে তরফান, মো.হোসেনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, মামলার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে বলিলেও ওসি তাদেরকে গ্রেপ্তার করে না। বিগত ২৭/০৩/২০২৪ইং মাহমুদুল হকের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন, মোঃ ইউনুছ এর ছেলে কামরুল হাসানসহ তাহাদের পরিচালিত কিশোর গ্যাং নিয়ে বজল আহম্মদ ছেলে আফেল আহম্মদকে রাত অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময়  বাসায় গিয়ে প্রাণে হত্যা হুমকি দেন। এই বিষয়ে থানায় সাধারণ ডাইরি করেন,আফেল আহম্মদ যাহার জি ডি নং:৯৩। থানায় সাধারণ ডাইরি করায় বিগত ৩০/০১/২৪ ইং আফেল আহম্মদকে আবার মারধর করেন। মাহমুদুল হকের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন, মোঃ ইউনুছ এর ছেলে কামরুল হাসানসহ তাহাদের পরিচালিত কিশোর গ্যাং নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান এর ছেলে আরিফুল ইসলাকে মারধর করেন এই ঘটনার আরিফুল ইসলাম এর মা লায়লা বেগম থানায় মামলা করেন মামলা নং- ১০/৪৮। এই মামলার কোন আসামী গ্রেপ্তার হয় নাই। বিগত ৩১/০৫/২৩ ইং তারিখ এলাকায় স্থানীয় মেম্বার লোকমান হাকিম কে হত্যা হুমকি দেওয়া তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডাইরি করেন মেম্বার লোকমান হাকিম। তাদের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মধ্যে বিগত ২৯/০৮/১৮ ইং তারিখ অস্ত্র সহ পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। তাদের বিরুদ্ধে কেহ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেহ বাধা প্রধান করিলে তার ভাড়া করা কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দায়রা প্রকাশ্যে মারধর করতে থাকে। তাদের নামে থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতীকার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তদন্ত করে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ও চট্টগ্রাম ডিআইজির কাছে জোর আহবান জানানো হয় লিখিত আবেদনে।
বিজ্ঞপ্তি


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর