মো. শোয়াইব, হাটহাজারীঃ পৌরসভার ১ নাম্বার ওয়ার্ডের রঙ্গীপাড়ার ওয়াহেদ আলী সড়কের প্রায় ৪২৬ ফুট সড়ক উন্নয়নের আরসিসি ঢালাই কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী বলছেন, আরসিসি কাজে রড ব্যবহার করার কথা থাকলেও সেখানে রড ছাড়াই আরসিসি ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৪২৬ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থ এবং ৪ ইঞ্চি গভীর সড়কটির উন্নয়নে ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আদর্শ গ্রামের উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ের পৌর বাসিন্দারা জানান, ‘এর আগে মহল্লাটিতে যতগুলো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হয়েছে তার প্রায় সবগুলোর ঠিকাদারী করেছেন মনোয়ার নামের ঠিকাদার ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান ইফাক ট্রেডার্স। তিনি অতীতে বিদ্যুৎ লাইনম্যানের কাজ করতেন। সে সুবাধে পৌরসভা থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত তার পরিচিতি রয়েছে। উল্লিখিত সড়কটিও উন্নয়ন কাজের দায়িত্ব পেয়েছে তার প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সে কাজে অনিয়ম হয়েছে।’
অভিযোগ বিষয়ে ঠিকাদার আমান উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘রড ছাড়া তো আরসিসি ঢালাই করা যায় না। তবে পৌরসভায় ঠিকাদারদের মধ্যে লটারি করে টেন্ডারের মধ্যে প্রকল্প পেয়েছি। আমার থেকে নিয়ে ইলিয়াস নামে এক ব্যক্তি কাজটি করছেন।’
আরও পড়ুন হাটহাজারীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকসহ ১৭৯ পদ শূণ্য
কার্যসহকারী আবু তালেব বলেন, ‘এই রাস্তার ইস্টেমিট করার সময় রড ধরা হয়নি। আমি বর্তমানে রাস্তার কাজ শুরু করেছি। আমাদের পৌর প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেন। তিনি সবই জানেন।’
হাটহাজারী পৌর প্রকৌশলী মো. বেলাল আহমেদ খান বলেন, ‘একটি রাস্তাসহ ঢালায় কাজের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাজের মান নিয়ে এলাকার লোকজনের ফোনের যন্ত্রণায় নিজে অতিষ্ঠ। তবে কাজের মান ভালো হচ্ছে।
পৌর সচিব বিপ্লব চন্দ্র মুহরী বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি রাস্তাটি রড ছাড়া শুধু সিসি ঢালাই হবে। এরপরও পৌর প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ খানের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানতে পারেন।
হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক আলহাজ্ব মনজুরুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘রড ছাড়া তো আরসিসি ঢালাই হয় না। তবে সেটি হলে আমি ব্যবস্থা নেবো। আমাকে ঠিকাদার ফোন করে জানায় কারা নাকি চাঁদার জন্য রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এটা শুনার সাথে সাথে আমি সচিবকে ফোন করে ঘটনাস্থলে যেতে বলেছি। কারণ আমি ঢাকায় আছি।’