বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভাধীন হাছনদন্ডী কাজিপাড়া এলাকায় প্রেমঘটিত কারণে রাজমিস্ত্রীর সহকারি মো. পারভেজ (১৮) আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। গতকাল ১৬ মার্চ সকালে গাছ বাগান থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানায় একটি অপমৃত্যু রেকর্ড করা হয়। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, হাছনদন্ডীর কাজির পাড়ার দিনমজুর মো. ফরিদের ছেলে পারভেজ দোহাজারী রাজজোয়ারা এলাকার প্রবাসী আবদুল্লাহ’র মেয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মিলির সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এ ব্যাপারে তার পরিবারের পক্ষ কয়েক মাস পূর্বে ২ দফা থানায় অভিযোগ দেয়া হয় এবং থানায় বৈঠক হয়। গত ১৫ মার্চ পারভেজ রাজমিস্ত্রীর সহকারি হিসেবে কাজ শেষে বাড়ি এসে পাশ্ববর্তী একটি গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে গিয়ে রাতে আর ফেরেনি। ১৬ মার্চ সকালে তাদের বাড়ির পাশ্ববর্তী গাছ বাগানে ২টি গাছের সাথে কাপড় দিয়ে দোলনাতে ঝুলানো অবস্থায় পারভেজের লাশ দেখতে পেয়ে তাদের বাড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। পারভেজের মা বুলু আকতার বলেছেন, তার ছেলের সাথে রায়জোয়ারার মিলি নামে এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কয়েকদিন আগে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ফলে প্রেমঘটিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তার ধারণা। পারভেজের প্রেমিকা রায়জোয়ারার মিলি (১৫) তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেছেন, পারভেজ তার চাচীর বাড়িতে বেড়াতে আসত। সেখানে তাদের সম্পর্ক হয়। বাঁচলেও তার সাথে বাচঁবে, মরলেও তার সাথে মরবে। তার সাথে অন্য কারো প্রেমের সম্পর্ক নেই এবং অন্য কোথাও বিয়ে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। চন্দনাইশ থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় নিহতের লাশ তাদের বাড়ির পাশ্ববর্তী গাছ বাগানের ছোট ছেলে-মেয়েদের দোলনা থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় উদ্ধার করে ময়নাদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়। তার শরীরে কোথাও কোনরকম আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পারভেজের মোবাইল কল লিষ্টে দেখা যায়, গত ১৫ মার্চ সারাদিন ২’শ বারের অধিক মেয়েটির সাথে কথা বলেছে। অন্য কোন মোবাইলে তার সাথে কথা হয়নি। ৫/৬ ঘন্টা আগে তার মৃত্যু হয়েছে, লাশটি শক্ত অবস্থায় ছিল। ধারনা করা হচ্ছে সে দোলনায় চড়ার সময় অসর্তকতার কারণে হয়তঃ গলায় ফাঁস লেগেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার লাশ ময়না তদন্ত শেষে বাড়িতে আসলে নামাজে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।