আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

পার্বত্য অঞ্চলে পানি ও মশাবাহিত রোগের প্রকোপ


অনলাইন ডেস্কঃ বর্ষাকালে দুর্গম এলাকায় সুপেয় পানির সংকটের পাশাপাশি মশার উপদ্রব বেড়েছে। এ কারণে পানি ও মশাবাহিত রোগের প্রকোপও বাড়ছে। সম্প্রতি বান্দরবানের আলীকদমে ম্যালেরিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন উপজেলার ৪ নম্বর কুরুকপাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ক্রাত প্রু ম্রো।

তিনি জানান, কুরুকপাতা ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েক সপ্তাহে অন্তত ৩৫ জন ম্যালেরিয়া ও ২০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ২০ দিন আগে ডায়রিয়ায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে তাৎক্ষণিক মৃত শিশুটির পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।

স্থানীয়রা বলছেন, বর্ষায় জেলার দুর্গম এলাকায় সুপেয় জলের সংকটের পাশাপাশি বাড়ে ম্যালেরিয়ার উপদ্রব। পাহাড় ধুয়ে ঝিরি বয়ে আসা রোগ জীবাণুযুক্ত পানি পান করে বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। বৃষ্টির পানিতে পাহাড় স্যাঁতস্যাঁতে থাকায় ম্যালেরিয়া জীবাণুবাহী আনোফেলিশ মশার উপদ্রবও বেড়ে যায়। ফলে একবার এ দুই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন বান্দরবানে যৌথ অভিযানের নামে গণগ্রেফতার বন্ধ করার দাবিতে চবিতে মানববন্ধন

এর আগেও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। অন্যান্য বছরের মত এবারও বর্ষা শুরু হতেই এ এলাকায় বেড়েছে ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ।

আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে উপজেলার ৪০ হাজার ৯৫৮ জনকে পরীক্ষায় দুই হাজার ৩৩৫ জনের শরীরে ম্যালেরিয়ার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছিল। চলতি বছরের মে পর্যন্ত ১৬ হাজার ৬৫৪ জনের পরীক্ষায় ২২৩ জনের শরীরে ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মাহাবুব জানান, কয়েক সপ্তাহে কুরুকপাতা এলাকায় জ্বরে আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত সপ্তাহে একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছিল। সেখানে কয়েকটি পাড়ার ৪৫ জনকে পরীক্ষার পর ২৭ জনের শরীরে ম্যালেরিয়ার জীবাণু উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আজও একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে।

তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ২৪


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর