আনোয়ার হাসান চৌধুরী, কক্সবাজারঃ সুইজারল্যান্ড সফরে জুরিখের মেয়র কোরিন মচকে কক্সবাজার পৌরসভার উন্নয়ন চিত্র উপস্থাপন করেছেন কক্সবাজারের মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী।
এছাড়া তিনি সুইজারল্যান্ডের জুরিখ সিটিতে হেলভেটাসের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন ও জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিরাপদ খাদ্য সম্মেলনেও অংশগ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন ‘আগামী ক্রিকেটারের খুঁজে চট্টগ্রাম বিভাগ’ কক্সবাজারে বাছাই কার্যক্রম
সুইজারল্যান্ড জুরিখ সিটির মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সুইজারল্যান্ড সফর প্রসঙ্গে মেয়র মাহাবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ‘আমার সৌভাগ্য সম্মানিত মেয়র তার অফিসে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এই জন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। একই কারণে আমি হেলভেটাস সুইজকেও ধন্যবাদ জানাই। এই সময় আমার সাথে ছিলেন তানজানিয়ার মেয়র। জুরিখ সিটির মেয়র সুইজারল্যান্ডের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুইজারল্যান্ডের অত্যন্ত প্রভাবশালী ৩ বারের মেয়র। বিগত তিন মাস আগে হেলভেটাস সুইজ আমি এবং তানজিনিয়ার মেয়র দেখা করার জন্য তাকে অনুরোধ করেছিলো, আমাদের সাথে দেখা করার সম্মতি প্রদান করেছিলেন তিনি। সাক্ষাতে আমি চেষ্টা করেছি বাংলাদেশ ও কক্সবাজার পৌরসভার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরার এবং কক্সবাজারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাদার অফ হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে তা উপস্থাপন করেছি। তাকে (জুরিখ মেয়র) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেছি, তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি চেষ্টা করবেন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সুন্দর একটা সমাধানের জন্য কথা বলবেন এবং কক্সবাজার পৌরসভার সম্মানিত নাগরিক, গরিব অসহায় জনগণ ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্রদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও উন্নত সেবা প্রদান করার জন্য অনুরোধ করেছেন। আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি কক্সবাজার পৌরসভার জনগণের সেবার জন্য কাজ করে যাব এবং তাকে বাংলাদেশ ও বিশেষ করে পর্যটন শহর কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য অনুরোধ করেছি।
সফরকালে মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী হেলভেটাসের প্রধান কার্যালয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। জুরিখ শহরের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন ও ট্রাম নিয়ে জুরিখ শহর ঘুরে দেখেন। এইসময় সাথে ছিলেন দিনাজপুরের মেয়র ও তানজানিয়ার মেয়র। তানজানিয়ার মেয়র ও জুরিখ সিটির ডেপুটি মেয়র, হেলভেটাস কর্মকর্তাদের সাথে জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিরাপদ খাদ্য সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী।