আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

রাঙ্গামাটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনে রাজবন বিহারে পূর্ণার্থীর ঢল


অনলাইন ডেস্কঃ দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে জেলায় যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও শাখা বন বিহারগুলোতে উদযাপিত হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা।
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে রাঙ্গামাটির রাজ বনবিহারসহ বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ দানানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে রাঙ্গামাটির রাজ বন বিহার প্রাঙ্গনে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের পি-দান ও প্রাতঃরাশ, মঙ্গল সুত্র পাঠ, বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল প্রার্থনা, মহাসংঘ দান, প্রদীপ পুজা, হাজার বাতি দান, ফানুস দানসহ বিভিন্ন দানানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের উপাসক উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ানের সভাপতিত্বে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

সন্ধ্যায় হাজার বাতি প্রজ্জ্বলণ ও ফানুষ উত্তোলনের মধ্যদিয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।

ধর্মীয় অনুষ্ঠানে স্বধর্ম প্রাণ দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও বভন্তের প্রধান শিষ্য প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।

এ সময় হাজার-হাজার পূর্ণার্থীর সাধু-সাধু ধ্বণিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার প্রাঙ্গন। শুভ প্রবারণা পুর্ণিমা উপলক্ষে রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে পূর্ণার্থীর ঢল নামে।

উল্লেখ্য, আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ি পুর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পুর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিনটি পালন করে আসছেন।

তথ্যসুত্র: বাসস


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর