মো.ইকবাল হোসেন, সাতকানিয়াঃ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মৌলবীর দোকান হয়ে মরফলা-দুরদুরী পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটির বেহাল দশা হয়েছে। রাস্তার মাঝখানে ছোট-বড় গর্ত, পিচ উপড়ে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ১১ কিলোমিটারের আঞ্চলিক এই সড়ক। বৃষ্টি হলে সড়কে সৃষ্ট গর্তের কারণে যান-বাহন চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হয়। কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায় সড়ক ব্যবহারকারী মানুষ। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে চলাচলকারীরা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার নলুয়া, আমিলাইষ, চরতি ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী চন্দনাইশ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম এই সড়ক।
সড়কে চলাচলকারী গাড়ির চালকরা জানান, চরতি ইউনিয়নের দুরদুরী হতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মৌলবীর দোকান পর্যন্ত ৩০ মিনিটের রাস্তা হলেও গর্ত ও খানাখন্দের কারণে দেড় ঘন্টাও সময় লেগে যায়।
সড়কে নিয়মিত চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও ক্ষেত -খামারে উৎপাদিত পণ্যের গাড়ির চালকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের মরফলা বাজার, পোড়া দোকান, নলুয়া উ”চ বিদ্যালয়, তালতল, পশ্চিম নলুয়া, আমিলাইষ শিশুতল, কেন্দ্রীয় মসজিদ, দক্ষিণ চরতি, সুইপরা সংযোগ সড়ক সংলগ্ন, মফজলের দোকান, চরতি উ”চ বিদ্যালয়, দুরদুরী পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্ত, খানা খন্দ, পিচ উপড়ে গিয়ে ইট ও খোয়া বেরিয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) পারভেজ সারোয়ার হোসেন চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘সড়কটির ১১ কিলোমিটার সংস্কার কাজের জন্য (আরসিআইপি প্রজেক্টের মাধ্যমে) সরকারিভাবে গত ২৬ জুলাই অনুমোদন দিয়েছে। ১১ কিলোমিটার এই সড়কটির বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। অনুমোদন ও টেন্ডার প্রক্রিয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হলেই আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।’