সমাবেশের পর রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ মুখে শনিবার (২৯ জুলাই) অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তবে ঢাকার কোনো প্রবেশ মুখে কোনো দলকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ। শনিবার (২৯ জুলাই) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এ তথ্য জানান।
ডিমপি কমিশনার জানান, জনদুর্ভোগ হবে এমন কোনো কর্মসূচি কাউকে করতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি হলেও প্রবেশ পথ সামান্য সময় আটকা থাকলে অনেক গাড়ির জটলা তৈরি হয়। এর ব্যতয় হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শেষে অবিলম্বে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী, শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি করবে বিএনপি। বিএনপির এমন ঘোষণার পর ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। যুবলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী, গাবতলী এবং আমিনবাজারে শান্তি সমাবেশ করবে তারা। দু'দলের এই কর্মসূচির দেওয়ার পরই হুঁশিয়ারি দিয়েছে ডিএমপি।
এদিন দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অস্থায়ী মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন।
ভোর থেকেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন নেতাকর্মীরা। ঢাকার বাইরে থেকেও নেতাকর্মীরা আসেন। একইভাবে দুপুর ২টার দিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। জুমার নামাজের পরে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের ঢল নামে।