আজ ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: ফটিকছড়ি কলেজ মার্কেট

অব্যবস্থাপনা-অনিয়মে জর্জরিত ফটিকছড়ি কলেজ মার্কেট কতৃপক্ষ


অনলাইন ডেস্কঃ জামানতের টাকা ফেরত না দিয়ে বিনা নোটিশে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে নতুন ভাড়াটিয়ার সাথে চুক্তি করেছে ফটিকছড়ি কলেজ মার্কেট কতৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে জল অনেকদূর গড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে এ ঘটনা পৌঁছায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারে দপ্তরে। সেখানে এটির সুরাহা হলেও আসলে কী দুর্নীতি কমছে?

জানা গেছে, ২০১৪ সালে ২লাখ টাকা জামানত এবং ১ হাজার ২৭৩ টাকা মাসিক ভাড়া চুক্তিতে ফটিকছড়ি কলেজ মার্কেট থেকে একটি দোকান ভাড়া নিয়েছিলো অনন্ত কুমার শর্মা নামে এক ব্যক্তি। ২০২১ সালে বিনা নোটিশে তার দোকানটি রনি মহাজন নামে আরেক ব্যক্তিকে ভাড়া দিয়ে দেয়।

জানতে চাইলে অনন্ত কুমার শর্মা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কম্পিউটার ক্রয়-বিক্রয় ও মাদারর্স মাল্টিপাস নামে সঞ্চয় অফিস হিসাবে পরিচালনা করে আসতেছি। ২০২০ সালে আমার স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে রনি মহাজন নামে এক ব্যক্তিকে আমার প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা পরিচালনা করার দায়িত্ব দেই। ২০২১ সালে অক্টোবরে কলেজ রশিদের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধও করেছি। কিন্তু অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান আমাকে কোনো নোটিশ না দিয়ে, আমার দোকান ব্যবসা পরিচালনাকারী রনি মহাজনকে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে ১০ হাজার টাকার জামানতের মাধ্যমে দোকান অবৈধভাবে বরাদ্দ দেন যা সম্পূর্ণ বেআইনী। কলেজ কর্তৃপক্ষ আমার জামানত ২লাখ টাকা এবং ব্যবসার জিনিসপত্র বুঝাইয়ে না দিয়ে, আমি বিচার চাওয়ায় এখন বিভিন্নভাবে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।’

আরও পড়ুন ফটিকছড়িতে টিলা কেটে কৃষিজমি ভরাটের অপরাধে ৩ লাখ টাকা দণ্ড

রনি মহাজন বলেন, ‘অনন্ত কুমার শর্মা একজন মিথ্যাবাদী, প্রতারকও বটে আমি পাশের দোকান ব্যবসায়ী হিসাবে উনার কাছ থেকে দোকানটি অনেকদিন বন্ধ থাকার কারণে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারী ৫ লাখ টাকা জামানত দিয়ে নিয়েছি। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে অধ্যক্ষের মাধ্যমে আমার নামে বরাদ্দ করি। অনন্ত কুমার শর্মা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন মামলা সি আর নং ৩৪৪/২০২১, তদন্ত করেন জেলা গোয়েন্দা অফিস পরে সেই মামলা সত্যতা না পেয়ে মামলটি খারিজ করে দেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেলিম রেজা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার ২০২৩ সালে অনন্ত কুমার শর্মার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাকে সূরাহার দায়িত্ব দেন, আমি ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ উভয়পক্ষকে ডেকে চুক্তিপত্র অনুযায়ী টাকা ফেরত দেয়ার কথায় অঙ্গীকার করি।’

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান যোগাযোগ করলে তিনি হুমকি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট যার কোন ভিত্তি নেই। অনন্ত কুমার শর্মায় কথার উপর রনি মহাজনকে বরাদ্দ দেয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুরাহা দিয়েছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ অফিস থেকে উনার ভাড়া বাবদ হিসাবে প্রদান করে বাকী টাকা ফেরত নিতে। অনন্ত শর্মা কলেজ অফিসে এখনও আসেনি।’


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর