অনলাইন ডেস্কঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন আবারো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবজি থেকে আমিষ কিংবা তেল-মসলার বাজার কোথাও স্বস্তি নেই ক্রেতার।
সরজমিনে দেখা গেছে, বাজারে কেজিতে ৫০ টাকার কমে আছে কেবল দু-এক পদের সবজি। এছাড়া সবই বিকোচ্ছে ৬০ টাকার বেশিতে। সবজির মতো দাম বেড়েছে মাছ-মাংস ও ডিমের। চট্টগ্রামে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। কেন দাম বাড়ছে এই বিষয়ে বিক্রেতারা দুষছেন সিন্ডিকেটকে আর সিন্ডিকেট কারা করছে তা জানে না কেউই।
ক্রেতারা বলছেন, আয়ের সাথে ব্যয়ের কোনো সঙ্গতি পাচ্ছেন না তারা। অভিযান চললে দু’একদিন কয়েক পদের পণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার নাগালে থাকে এরপর অভিযান শিথিল হলেই পূর্বাবস্থায় ফিরে বাজার।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘মৌসুম ছাড়া যেসব পণ্য বাজারে ওঠে সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি থাকবে তা স্বাভাবিক কিন্তু মৌসুমী সব পণ্যের দামও এখন আকাশচুম্বি। তাই গ্রীষ্মকালের বাজারে কাঁকরোলের কেজিতে সেঞ্চুরি। যদিও এ বাজার মূল্যের উল্লম্ফনের মুনাফা অধিকাংশ যাচ্ছে মধ্যস্বত্ত্বভোগীর পকেটে, কৃষকের ফয়দা তেমন হচ্ছে না।’
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের বহদ্দার হাট বাজারে কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১’শ টাকা কেজিতে, কাঁচা মরিচের কেজি ২’শ টাকা।
এদিকে গত কিছুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দামও কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। বর্তমানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, বর্তমানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি ছাড়িয়েছে। খাদ্যপণ্যের দাম শহরের চেয়ে বেশি বেড়েছে গ্রামে। তবে যেভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে সেভাবে ক্রেতার আয় বাড়েনি।