ফারুকুর রহমান বিনজু, পটিয়া
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার গঠনের ৩৩ বছর পর আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি নিয়েছে। এই জন্য পৌরসভা সংলগ্ন হাইদগাঁও এলাকায় স্থাপিত হচ্ছে আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন।
এখানে ময়লা-আবর্জনা থেকে তৈরি করা হবে বায়োগ্যাস, জৈব সার ও বিদ্যুৎ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সূচনালগ্নে গত সোমবার বিকালে পৌরসভা মিলনায়তনে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে পৌর মেয়র পুরো প্রকল্পটি পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, এই ডাম্পিং স্টেশনে এক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। পৌরসভার বর্জ্য ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বর্জ্য ক্রয় করা হবে।
এতে পটিয়ার পরিবেশ যেমন উন্নত হবে তেমনি পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে বহুলোকের কর্মসংস্থান হবে। মেয়র আইয়ুব বাবুল জানান, ডাম্পিং স্টেশনের জন্য ২৫ কানি জমি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা হবে। জমি প্রদান ছাড়া পৌরসভার আর কোন খরচ নেই। সরকার ও বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রতিটি এলাকাকে স্মার্ট হিসেবে উন্নয়ন করতে হবে। বর্তমানে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থপনার অভাবে মানুষ যত্র তত্র আবর্জনা করে । ফলে সড়ক মহাসড়ক, খাল পুকুর দূষিত হয়।
এতে জনস্বাস্থ্য ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। রোগ জীবানু বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি পটিয়াকে একটি আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে গণমাধ্যম সহ সকল পেশাজীবি ও নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। সম্প্রতি ডাম্পিং স্টেশনের জমি ক্রয় নিয়ে হাইদগাঁও ইউনিয়নের বহিস্কৃত চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আপত্তি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে তার মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে মেয়র বলেন, পটিয়া সবার। সবাইকে নিয়েই পটিয়ার উন্নয়ন করা হবে। ডাম্পিং স্টেশন নির্মান ব্যয় ২০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এই টাকা সরকার ও উন্নয়ন সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে পটিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার রূপক সেন, গোফরান রানা, বেলাল হোসেন, শফিউল আলম ও আজাদুর রহমানসহ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।