ফারুকুর রহমান বিনজু , পটিয়া
ভূমিহীনদের নির্দিষ্ট একটি স্হায়ী ঠিকানা যাতে হয়,সেই লক্ষে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ন প্রকল্পে ভূমি হীনদের জন্য ঘর বরাদ্দ করে তাদের মাঝে তা হস্তান্তর করে স্হায়ী ঠিকানার ব্যবস্হা করেন।পটিয়া শহর থেকে পূর্বে ৫কি:মি:দুরে উপজেলার হাইদগাঁও ও কেলিশহর ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের আর্দশ গুচ্ছ গ্রামে বর্তমান ৪ শতাধিক গরীব অসহায় নিঃস্ব পরিবারের বসবাস। দিন দুঃখী অসহায় মানুষ সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করে রাতে পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারেন।প্রধানমন্ত্রী মাথা গোজাঁর ঠাঁই করে দিলে ও পরিবারের আহার জোগাড় করতে পথে নামতে হয় গ্রামবাসীদের। গৃহ হস্তান্তর পর পর গুচ্ছ গ্রামে এম পি,ইউ এন ও,রাজনৈতিক নেতা, কর্মী, প্রভাবশালী বিত্তবান দের আগমন ঘটত।রোজার ইদে নতুন কাপড়, রমজানে সেহরি ও ইফতার, কুরবানী ইদে গরু জবাই করে মাংস,নগদ টাকা,চাল,তৈল,ডাল বিতরণ করে গ্রামবাসীদের আনন্দের বন্যা বয়ে যেত। কিন্তু বর্তমান কেউ আসেওনা,খবর ও রাখেনা।নেই কোন আনন্দের বন্যা। তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়া সাগরিকা রানী(৫৫),পিতা মৃত আতরুজ্জমান ২৪নং টিনের ঘরে ৫বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন এখন আমাদের খবর কেউ রাখেনা। আমি একজন ডায়াবেটিস রোগী, দিনে আমার অনেক টাকার ওষুধ লাগে। টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারিনা। ভাগ্য ভালো বিধায় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘরটি পেয়ে মাথা গোজার ঠাঁইটুকু পেলাম। না হলে এই অসুস্হ আবস্হায় আকাশের নীচে রাত কাটতে হতো। শান্তা(৫০)পিতা আলী আহমদ ২৫নংঘর।দিপালী শীল(৫১) ৩ছেলে ২মেয়ে,নতুন ইস্কুলের পিছনে ১নং ঘর। ছেনুয়ারা বেগম(৩৫)স্বামী আবদুল মান্নান ৩মেয়ে,২০নং টিনের ঘর।লাকী আক্তার (২১)চায়ের দোকানের পাশে ৩০নং ঘর।মধু আক্তার (২১)স্বামী ইউসুফ আলী, দিনমজুর ৩ছেলে,৪নংঘর।এরা ক্ষােভ প্রকাশ করে বলেন সাবেক এম পি সামশুল হক চৌধুরী থাকতে আমরা অনেক সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছি। নেতা কর্মীরা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন আমাদের খোঁজ খবর রাখত। বর্তমানে কেউ আসেও না,খোঁজ খবর ও নেয় না। সাহায্য সহযোগিতাও পায় না। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিন যাপন করছি।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভুঁইয়া জনী বলেন বর্তমান আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসীদের জন্য কোন বরাদ্দ নাই।তবে তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সঞ্চয় উন্নতি করন ও কবরস্থান নির্ধারন সংস্কার সহ বিভিন্ন প্রকল্প সরকার বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
Leave a Reply