অনলাইন ডেস্কঃ দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর ওভারসিজ টেকনিক্যাল কো-অপারেশন অ্যান্ড সাসটেইনেবল পার্টনারশিপস (এওটিএস) এলুমনি সোসাইটির প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপান সরকার উল্লেখযোগ ̈ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। শনিবার (১ জুন) নগরীর আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেম্বার কার্যালয়ে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, চট্টগ্রাম এওটিএস অ্যালামনাই সোসাইটির সভাপতি লতিফ আনোয়ার চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি এ. আর. এম. শামীম উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ট্রেজারার মোহাম্মদ রহিম উল্যাহ, পাবলিসিটি সেক্রেটারী এ. এ. মো. আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী, আরএন্ডডি ও পাবলিকেশন সেক্রেটারী এ. টি. কায়সার আহমেদ চৌধুরী ও চেম্বার সেক্রেটারী ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুক, সৈয়দ শাহ মো. কেরামাতুল আজিম, সৈয়দ নুরুল বাশার, মোহাম্মদ সাইফ উল্যাহ মনসুর, মো. কামরুল হাসান, জাফর আহমেদ প্রমুখ।
এসময় ওমর হাজ্জাজ বলেন, দেশের মেগা প্রকল্প বিশেষ করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান
বন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর-সহ উল্লেখযোগ্য ̈প্রকল্পে জাপানীরা কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও এওটিএস এর মাধ্যমে জাপান সরকার দেশের উৎপাদনশীল ও সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন চিটাগাং চেম্বারের নতুন পরিচালক ওয়েল গ্রুপের সৈয়দ নজরুল ইসলাম
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন। এসব উন্নয়নের সুফল পেতে বিদেশী বিনিয়োগ যেমন দরকার তেমনি দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলাও প্রয়োজন। কারণ দেশে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে না উঠলে বিদেশীরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবে না। তাই চট্টগ্রামের এওটিস এলুমনি সোসাইটির সাথে চিটাগাং চেম্বার যৌথভাবে দক্ষতা উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করতে পারে।
চট্টগ্রাম এওটিএস এলুমনি সোসাইটির সভাপতি লতিফ আনোয়ার চৌধুরী বলেন, এওটিএস এলমুনি সোসাইটি চট্টগ্রামে দক্ষ মানবসম্পদ, ম্যানুফ্যাকচারিং ও সার্ভিস সেক্টরে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রশিক্ষণমূলক সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করে থাকে।
তিনি বলেন, জাপানীরা মনে করে একটি কোম্পানীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যদি প্রশিক্ষিত হয় তাহলে প্রতিষ্ঠান গতিশীল হবে। তাই জাপানীরা এওটিএস এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত হস্তান্তরের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তিনি চেম্বারের সাথে অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে আগামীতে চট্টগ্রামে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনার আয়োজনে সহযোগিতা কামনা করেন।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, যে কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় অনেক দুর্বলতা থাকে। আবার শিল্পকারখানাগুলোর ̧সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। তাই দেশের শিল্পের চাহিদানুযায়ী দক্ষ মানবসম্পদ ও প্রযুক্তিগতভাবে প্রশিক্ষিত করতে গবেষণা প্রয়োজন। এজন্য ̈শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী এনজিএস প্রোগ্রাম, কাইজেন, ফাইভ এস, জাপানের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক নির্ণয় এবং জাপানী ভাষা শিক্ষা কোর্স চাহিদানুযায়ী চেম্বার এবং এওটিএস চট্টগ্রাম সোসাইটি যৌথভাবে আয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।