প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪, ৪:২৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২০, ২০২৪, ৭:২৮ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সংগঠনের জেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল আবছার চৌধুরীর ৫৮তম জন্মদিন আন্দরাকিল্লাস্থ সংগঠন কার্যালয়ে উদযাপিত হয়। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকাল ৫টায় এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও মুনাজাত করেন মৌলানা মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক বাবু প্রদীপ দাশ, মোসলেহ উদ্দিন মনসুর, আবদুল কাদের সুজন, বিজয় কুমার বড়ুয়া, আবদুর রহিম, বোরহান উদ্দিন এমরান, খালেদা আক্তার চৌধুরী, মো. ফারুক, আবছার উদ্দিন সেলিম, ছৈয়দুল মোস্তফা চৌধুরী রাজু, জয়নাল আবেদীন জুনু, মো. জসিম উদ্দিন, অধ্যক্ষ আ ন ম সরোয়ার আলম, নঈমুল হক চৌধুরী পারভেজ, নাছির উদ্দিন, মো. খোরশেদ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম শামসুজ্জামান, সাবেক সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, নুরুল আমিন চৌধুরী, রেজাউল করিম রাজা, অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, দিদারুল ইসলাম চৌধুরী, জহরুল ইসলাম চৌধুরী, দিদারুল আলম, মমতাজ উদ্দিন, বাবু সুরেশ দাশ, আবুল হাশেম, জহুর চৌধুরী প্রমুখ।
নুরুল আবছার চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত
সৎ, নির্লোভ, নিরহংকার, আদর্শিক ও মানবিক রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব নুরুল আবছার চৌধুরী ১৯৬৬ সালের ২০ জুন মির্জাখীলের চৌধুরী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। সাতকানিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সহিত উত্তীর্ণ হয়ে সাতকানিয়া সরকারি কলেজে এইচএসসিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকারী সংসদ সদস্য, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ ইং পর্যন্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ চট্টগ্রাম শহরে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অন্যতম পুরোধা, ‘৯০ এর গণঅভ্যূত্থানে গঠিত সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক, ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৮৮ ইং সালে সাতকানিয়া উপজেলা সমাজ কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ ইং পর্যন্ত সাতকানিয়া সরকারী কলেজ ছাত্র লীগের যুগ্ম আহবায়ক এবং সারথী নাট্য গোষ্টী সাতকানিয়া সরকারি কলেজের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে দায়িত্বরত আছেন। একজন সৎ, নির্লোভ, নিরহংকার পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে নিজ দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশু-কিশোর, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সমবায়-সংগঠনের সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, প্রবল শীত ইত্যাদি প্রাকৃতিক দূর্যোগকালে সর্বদা অসহায় মানুষের পাশে থাকতে চেষ্টা করেন। ২০০৮ সালে পরিবেশ-সামাজিক বনায়ন, ২০১০ সালে সমাজসেবায় অনন্য ভূমিকার জন্য মাননীয় প্রধান বিচারপতির হাত থেকে শ্রেষ্ঠ সমাজ সেবক ও খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান থেকে একুশে পদকে ভূষিত হন।
প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে সাতকানিয়া উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী নির্বাচিত হন। বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষের সমস্যা চিহ্নিত করে তা দূরীকরণে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। সম্পাদক-প্রকাশক হিসেবে “চাটগাঁর সংবাদ' নামক পত্রিকা প্রকাশ করে আসছেন যা বর্তমানে ঢাকার বাইরে থেকে প্রকাশিত পত্রিকা গুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তা ও প্রচার সংখ্যায় শীর্ষস্থানে রয়েছে। বর্তমানে তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টিজ এর ‘যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এলাকার উন্নয়নে সেতু, রাস্তা-কালভার্ট, স্কুুল-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে উল্ল্যেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছেন। মানবিক বিপর্যয়সহ যেকোন দূর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্যা সমাধানে সর্বাগ্রে তাকেই দেখা যায়। যৌতুক মাদক, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং প্রতিরোধে রোধ, অপরিণত বয়সে টাচ মোবাইল ব্যবহারের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করার ভূমিকা সর্বমহলে প্রসংশিত। শিক্ষা মানবতার ফেরিওয়ালার হিসেবে তিনি মানুষের কাছে পরিচিত। রাজনৈতিক দূর্বৃত্তায়ন ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে তার সাহসী ও গণমূখী ভুমিকা নবপ্রজম্মকে অনুপ্রাণিত করে। রাজনীতি, শিক্ষা, প্রশাসন যে কোন সেক্টরে অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি বড় হাতিয়া অরিদা ঘোনার হ্রদ অপরিকল্পিতভাবে কাটার পর বিধ্বস্ত ঘরবাড়িসহ ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনে এবং গত মাসে সাতকানিয়ার ছদাহার দু’জন ব্যক্তি তিন দিনের ব্যবধানে পৃথক দু’টি ঘটনায় কিশোর গ্যাং এর হাতে নির্মমভাবে খুন হলে প্রতিবাদ সমাবেশ মানববন্ধন সংগঠিত করেছেন। এছাড়া সামাজিক সহিংসতা, মাদক সন্ত্রাস প্রতিরোধে, জনমত সৃষ্টিতে ছাত্র ও যুব সমাজকে সংগঠিত করে প্রান্তিক পর্যায়ে ভূমিকা রেখে আসছেন।