আজ ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: আলহাজ্ব নুরুল আবছার চৌধুরী

সাতকানিয়াকে স্মার্ট উপজেলায় রূপান্তর করতে চান নুরুল আবছার চৌধুরী


অনলাইন ডেস্কঃ শহুরে নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনপদের প্রান্তিক মানুষদের দোড়গোড়ায় সরকারি সমস্ত সুবিধা পৌঁছাতে বর্তমান সরকারের গৃহীত ‘স্মার্ট’ কনসেপ্ট বাস্তবায়ন করতে চান সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল আবছার চৌধুরী। এজন্য সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি স্থানীয় বিত্তশালীদের সহায়তার শ্রাদ্ধ না করে যথোপযুক্তভাবে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে ব্যয় করতে চান তিনি।

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন আলহাজ্ব নুরুল আবছার চৌধুরী। উপজেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে তারমতো সৎ, নির্লোভ, নিরহংকার ও স্বচ্ছ রাজনীতিবিদের প্রয়োজন বলেও দাবি করছেন স্থানীয় ভোটারগণ।

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে নুরুল আবছার চৌধুরীকেই ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। এ প্রসঙ্গে উপজেলার একাধিক প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, ‘জরিপ কিংবা মতামতের ভিত্তিতে বলতে হলে; ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসাবে নুরুল আবছার চৌধুরীকে এগিয়ে রাখতে হবে। তার মতো শিক্ষানুরাগী, জনদরদী নেতাকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে পেলে এলাকার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। তাছাড়া সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি যে নির্বাচনে বিজয়ী হবেন সে ধারনাতেও কেউ দ্বিমত করবেন বলে মনে হয় না।’

রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে নির্বাচন করতে চান আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরী। ২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে চান তিনি। জনগণ সেবা করার সুযোগ দিলে নিজের সর্বোচ্চটুকু বিলিয়ে দিতে চান তিনি।

আরও পড়ুন ক্লিন ইমেজের নুরুল আবছার চৌধুরী প্রার্থী হচ্ছেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচনে

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী বলেন, ‘২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের সমর্থনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান হলে কাজের সেবা করার সুযোগ বেশি পাব। আশা করি সাতকানিয়াবাসী আমাকে নির্বাচিত করবেন।’

তিনি বলেন, ‘সাতকানিয়া উপজেলার গ্রামীণ জনপদের মানুষকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের স্বাদ দিতে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারি অফিসসমূহকে সেবাগ্রহীতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং রিনিউবল শক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণ করতে কাজ করব ইনশাহআল্লাহ। এছাড়া পৌরসভাসহ সাতকানিয়া উপজেলার প্রান্তিক জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে দেশের রাজনীতির মাঠে কোণঠাসা হয়ে পড়া বিএনপি ও সরকারবিরোধী সমমনা দলগুলো সদ্যসমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জন করবে বলে জানা যাচ্ছে। এ কারনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কয়েকজন হেভিওয়েট নেতার মধ্যেই এ ভোট লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল হবে কী না সে বিষয়ে নিশ্চিত করে জানাতে পারছেন না সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা।

ইতোমধ্যে নুরুল আবছার চৌধুরী চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন এমন খবর গণমাধ্যমে চাউর হয়েছে। তার পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে আওয়ামী লীগের আরও পাঁচ নেতার নাম। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, সাতকানিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেঁওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সালেহ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর