অনলাইন ডেস্কঃ চট্টগ্রামে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর ব্যায়াম কিংবা হাঁটার জন্য কোনো নির্দিষ্ট পার্ক নেই। নগরীতে বর্তমানে যে কয়টি পার্ক রয়েছে তাতে অন্যান্য বয়সীদের জনসমাগমের কারনে প্রবীণদের হাঁটাহাঁটি কিংবা ব্যায়ামে অসুবিধা হয়। দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। চট্টগ্রামেও এ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’ এর প্রতিবেদন অনুসারে, মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ১০ শতাংশ এখন প্রবীণ। দেশের এই প্রবীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার কথা বহুবছর ধরে বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই বয়সের মানুষের সমস্যা মোকাবিলায় সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও উল্লেখ করার মতো কোনো প্রস্তুতি নেই কোনো কতৃপক্ষের।
এ অবস্থায় চট্টগ্রামের প্রবীণদের জন্য একটি পার্ক প্রয়োজন বলে দাবি করেছে প্রবীণ সংগঠন ‘সুহৃদ বাংলাদেশ’। সেই পার্কে তাদের জন্য বসার স্থান ও হাঁটার জায়গা থাকাটাও জরুরি বলে জানানো হচ্ছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়। একইসাথে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সুহৃদ সম্প্রীতি সম্মেলনের তারিখ ধার্য্য করা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডা. মনোতোষ ধর বলেন, ‘প্রবীণদের জন্য একটি বসার স্থান ও সকাল-বিকাল হাঁটার জায়গার জন্য একটি পার্ক আজ খুব প্রয়োজন। সুহৃদ বাংলাদেশ প্রবীণদের একটি চেতনামূলক সংগঠন। কোনো পরিবার যাতে প্রবীণদের বোঝা মনে না করে, সে বিষয়টি সামনে রেখে প্রবীণদের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সুহৃদ বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন বিশ্ব প্রবীণ দিবস
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর দেবব্রত দেওয়ানজী। ২৩ ফেব্রুয়ারি সুহদ সম্প্রীতি সম্মেলনে তার রচিত গ্রন্থ ‘হে অতীত কথা কও’ এর উপর একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
প্রফেসর দেবব্রত দেওয়ানজী জানিয়েছেন, ‘গ্রন্থটিতে কুয়াইশ-চান্দগাঁও এলাকার বিগত একশত বছরের ইতিহাস রয়েছে।’
অরুণ চন্দ্র বণিকের সঞ্চালনায় সুহৎ বাংলাদেশের সম্প্রীতি সম্মেলন সফল করার উপর গুরুত্ব দিয়ে এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ ধনরঞ্জন বণিক, বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য্য, সমাজসংগঠক সত্যব্রত দেওয়ানজী, তরুণ শিল্পপতি রতন চৌধুরী, সম্মেলন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী শিমুল ধর, সেবায়েত মিলন ধর প্রমুখ।
সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সেমিনার, প্রচার ও আপ্যায়ন উপপরিষদ গঠন করা হয়েছে।