মো: শোয়াইব,হাটহাজারী প্রতিনিধি
হাটহাজারীতে খবরের কাগজ পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র পরিবহন (সিএনজি) গাড়িকে আটকে অক্সিজেন মোড়ে মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠে ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহতি হাসানের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, বিগত ১৪-১৫ বছর যাবদ ভোরের আকাশ উদয় হওয়ার আগেই ঘুম থেকে উঠে চট্টগ্রাম নগর থেকে খবরের কাগজ (পত্রিকা) আনতে ছুটে যান মোঃ সোলাইমান। ঝড়-বৃষ্টি কিংবা তুফান, হরতাল- অবরোধেও তিনি খবরের কাগজ নিয়ে ফিরেন হাটহাজারীতে। এটা তাঁর দৈনন্দিক কর্ম। কিন্তু এর বাঁধসাধে ট্রাফিক পুলিশ। চট্টগ্রাম নগরে যেতে হলে ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহতি হাসানের মাসিক টোকেন নিয়ে প্রবেশ করতে হয়। দিন-দিন বাড়ছে তাঁর টোকেন বানিজ্য। বিপরীতে সাধারণ চালকদের গুনতে হয় মোটা অংকের মামলা। গত ২৫ মে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় টোকেন না নেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টের ব্যক্তিগত রোষানলে পড়তে হয়েছে হাটহাজারীতে পত্রিকা পরিবহনের একমাত্র গাড়ি (সিএনজি)। গাড়ি আটকিয়ে মুনছুরাবাদ মালখানায় জব্দ রাখে। চালককে একটি মামলার রশিদ ধরিয়ে দেন। পরে সকাল সাড়ে দশটায় ওই গাড়ি থেকে পত্রিকা নামিয়ে অন্য গাড়ি করে হাটহাজারীতে পাঠিয়ে দেয়। গাড়ি আটকে থাকায় গত দুই দিন ধরে হাটহাজারীতে খবরের কাগজ বন্ধ রয়েছে।
পত্রিকা পরিবহন চালক মোঃ সোলাইমান বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় আমি পত্রিকা আনার সময় অক্সিজেন মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটক রেখে মামলা দেয়। এর আগেও তিনি গাড়িতে টোকেন রাখতে বলছেন। টোকেন না নেওয়াই আমাকে হয়রানি করছেন। শনিবার গাড়ি আনতে গিয়েছি বলছেন ১২ হাজার টাকা লাগবে। আমি গরিব মানুষ এত টাকা কোথায় পাবো।
হাটহাজারী অনিল পেপার এজেন্ট এর স্বত্বাধিকারী নয়ন চৌধুরী বলেন, ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে আমরা হাটহাজারীতে খবরের কাগজ বিক্রি করে আসছি। জাতীয় দৈনিক, আঞ্চলিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও চাকুরির খবরসহ দৈনিক ১২-১৩ শত পত্রিকা বিক্রি করি। বৃহস্পতিবার সকালে পত্রিকা আনার সময় ট্রাফিক পুলিশ আমাদের গাড়িকে মামলা দিয়ে আটকে রাখে। এজন্য আপাতত পত্রিকা বন্ধ রয়েছে।
অভিযুক্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট মোঃ মাহতি হাসান বলেন, গ্রাম গাড়ি শহরে আসবে কেন। গাড়িতে কোন কাগজপত্র না থাকায় মামলা দেওয়া হয়েছে। টোকেন বাণিজ্য ও সিএনজি থেকে টাকা নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করেন তিনি।
চট্টগ্রাম উত্তর ট্রাফিক বিভাগ (টিআই প্রশাসন) পুলিশ পরিদর্শন মোঃ কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনছি,আমি এখন ঢাকায় আছি। দেখি কি করা যায়।
Leave a Reply