অনলাইন ডেস্কঃ জাতীয় যুব দিবস আজ। ‘স্মার্ট যুব সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে (১ নভেম্বর) দেশব্যাপী দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
জাতীয় যুব দিবস’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
রাষ্ট্রপতির বাণীতে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, যুবরাই জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। সাহসী, অদম্য, প্রতিশ্রুতিশীল এবং সৃজনশীল যুবসমাজ যে কোনো দেশের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দেশের যুবসমাজ মুক্তি সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ত্যাগ, তিতিক্ষা ও আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামসহ বিভিন্ন সংকট উত্তরণে যুবসমাজের গৌরবোজ্জ্বল অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে।
প্রধানমন্ত্রীর বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে জীবন বাজি রেখে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে লাল-সবুজের একটি নতুন দেশ সৃষ্টি করে এদেশের যুবসমাজ। যুবদেরকে তিনি সংগঠিত করেছিলেন দেশপ্রেমের মহান দীক্ষায়। জাতির পিতা স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশ পুনর্গঠনেও যুবসমাজকে কাজে লাগান এবং শিক্ষিত ও কর্মদক্ষ যুবসমাজ সৃষ্টিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন ও রূপরেখা প্রণয়ন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধীচক্র জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশের যুবসমাজকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার পথে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টা চালায়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুবসমাজ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই জনমিতিক সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার-২০১৮ এ যুব সম্পর্কিত অঙ্গীকার ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’কে বিবেচনায় নিয়ে যুবদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্বদানে সক্ষম স্মার্ট যুবসম্পদ তৈরি করতে সারাদেশে হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ও বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সিং থেকে উপার্জিত অর্থ আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ফলে প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছেছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানও বেগবান হয়েছে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি-এ চারটি মূলভিত্তির ওপর ২০৪১ সালের মধ্যে গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। টেকসই ও জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী দেশ হবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
তথ্যসূত্র: সংগৃহীত