অনলাইন ডেস্কঃ জেলার সাতকনিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মির্জাখীল বাংলাবাজারের রয়েল পার্ক কমিউনিটি সেন্টারের বাবুর্চি মোরশেদুল আলমের (৪০) মৃত্যুতে রহস্য তৈরি হয়েছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ভোররাত ৩ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মির্জাখীলের ছোটহাতিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুল হাকিমের পুত্র মোরশেদুল আলম রয়েল পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে বাবুর্চির কাজ করতেন। শুক্রবার রাতে কাজের ফাঁকে অপর এক বাবর্চি জামাল উদ্দিনের সাথে তিনি একই কক্ষে ঘুমুচ্ছিলেন। ফজরের দিকে তাদের সেই কক্ষের দরজা একাধিকবার ধাক্কিয়ে সাড়া মিলছে না দেখে দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করেন সেই কমিউনিটি সেন্টারে কর্মরত অন্যান্য ব্যক্তিরা। পরে সেখানে মোরশেদুল আলমকে মৃত অবস্থায় এবং জামাল উদ্দিনকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর জামাল উদ্দিনকে সাতকানিয়ার একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
আরও পড়ুন অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর রহস্যজনক মৃত্যু
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে মোরশেদুল আলম বাবুর্চির সহোদর ভ্রাতা মকসুদ আলম চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টিতে কোনো মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে আমার ভাইয়ের মরদেহ সুরতহালের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে মৃত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না হলেও পোস্ট মর্টেমে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গেলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি জানতে পেরে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। অসুস্থ জামালকে চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং মোরশেদুল আলমের মরদেহ সুরতহালের জন্য পাঠিয়েছি। পোস্ট মোর্টেম রিপোর্টে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’