কুমিল্লা নগরীর নগর উদ্যানে হারানো গ্রামীণ ঐতিহ্য নিয়ে স্থাপিত হয়েছে জাদুঘর। জাদুঘরটি নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরছে। প্রতিদিন দেশের দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় জাদুঘরটিতে। শিক্ষার্থীরাও আসেন অভিভাবক নিয়ে।
জাদুঘরটিতে রয়েছে- পুরনো ২৫০টি মডেলের তালা, তৈজসপত্র, তাল গাছ দিয়ে তৈরি নৌকা, পুরনো ঢেঁকি, টেপ রেকর্ডার, হাতি, উট ও মহিষের শিং, লাঙল, জোয়াল, মাছ ধরার চাঁই, পুরনো দা, ৫০ বছর আগের ইট, শিলা, কলের গানের যন্ত্রপাতি, ঢেঁকি, সুপারি কাটার জাঁতি, হারিকেন, লাউয়ের ডুগডুগি, পাললিক শিলা, হুক্কা, ঘোড়ার চামড়ার আসন, নান চাকু, পুরনো ক্যামেরা ও খড়ম। এ ছাড়াও পুরাতন রেডিও সেট, টেলিফোন সেট, গরুর মুখের কাইর, হরিণের মাথা, পুরনো দিনের ক্যামেরা, শ্রমিকদের কাজের লোহার সরঞ্জাম, পিতলের ডেগসহ হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী সরঞ্জাম।
জাদুঘর দেখতে আসা কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, জাদুরঘরটি দেখার সুযোগ হয়েছে। এখানে দারুণ সব সংগ্রহ। বিশেষ করে তাল গাছ দিয়ে তৈরি নৌকা, ঢেঁকি ও কুপি বাতি স্মৃতিতাড়িত করে। এখানে গেলে বড়রা শেকড়ের ঘ্রাণ পাবে ছোটরা জানতে পারবে তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য।
জাদুঘরের পরিচালক স্কুলশিক্ষক নাজমুল আবেদীন বলেন, জাদুঘর প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে ৩০০ ধরনের দুই হাজারের বেশি দুর্লভ সরঞ্জাম রয়েছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, আধুনিক বিশ্বে প্রাচীন ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ব্যক্তি উদ্যোগে স্কুলশিক্ষক নাজমুল আবেদীন এ জাদুঘর গড়ে তুলেছেন। পরিণত বয়সের মানুষ এখানে এলে তার কৈশোর তারুণ্যে ফিরে সুখ আস্বাদন করতে পারবে।
তথ্যসূত্র: বাসস