অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বড় মেয়ে ড. শামারুহ মির্জা। আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১ টায় বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে জয়ীদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ড. শামারুহ মির্জা এবং নাজমুল হাসান নামে দুই বাংলাদেশি ২০২৩ সালের অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার পুরস্কার নেন। ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় পুরস্কার ঘোষণার দিন অন্যান্য রাজ্য এবং অঞ্চলের পুরস্কারপ্রাপ্তদের সঙ্গে ‘ফাইনালিস্ট’ হিসেবে যোগ দেবেন তারা।
এদিকে দলের মহাসচিবের মেয়ের এমন পুরস্কার অর্জনের খবর শুনে বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিনন্দন জানিয়ে তার জন্য দোয়া করেছেন। তার এই সাফল্য দল ও দেশের জন্য গর্ব। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। শামারুহ মির্জা আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। পেশায় চিকিৎসাবিজ্ঞানী মেয়ের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হওয়ায় দারুণ খুশি মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘ছোট বেলা থেকেই আমার মেয়ে পড়ালেখা সহ অন্যান্য কাজের প্রতি মনোযোগী। তার এ ধরনের পুরস্কার অর্জন পিতা হিসেবে আমার জন্যা নি:সন্দেহে গর্বের বিষয়, আমি খুশি।’
চিকিৎসাবিজ্ঞানী শামারুহ মির্জা অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগতভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছেন। নারীদের প্রতিনিয়ত বিষণ্ণতার সঙ্গে লড়াই তাকে ভাবিয়ে তোলে। পরে তিনি ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের (সাংস্কৃতিক ও জাতিগত) নারীরা যেন নিরাপদে তাদের নিত্যকার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা এবং একইসঙ্গে আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে ২০১৭ সালে তিনি সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ‘সিতারাস স্টোরি’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
এটি স্বেচ্ছাসেবী এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য, গার্হস্থ্য সহিংসতা, নিজের যত্ন এবং দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে সহায়তা করে। ২০২১ সালে সংস্থাটিকে ‘এসিটি মেন্টাল হেলথ মান্থ অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ৪৪ বছর বয়সী ড. শামারুহ নিজেও ‘ক্যানবেরা কমিউনিটি স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ এর চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগী ছিলেন।
Leave a Reply