ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা বিএনপি আয়োজিত বর্ধিত সভার আগে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকারে আওয়ামী লীগের আপত্তির একটাই কারণ, তারা জানে, যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন হয়, তাদের কারও জামানত থাকবে না। ৩০টির বেশি আসনও তারা পাবে না। পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ ঘটনার কারণে দেশের ভাবমূর্তি কিছুটা ক্ষুণ্ন হয়েছে, পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তি অনেক বেশি ক্ষুণ্ন হয়েছে। পঞ্চগড়ের ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে পূর্বপরিকল্পিতভাবে। দেশে এখন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছে। এ আন্দোলন যখন পুরোপুরিভাবে বিস্ফোরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সরকার পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চায়। বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চায়। তা না হলে ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে বলে ফেললেন, এটা বিএনপির কাজ?’
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা কাজে লাগিয়ে সরকার বিএনপি নিধনে নেমেছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ঘটনার পর রেলপথমন্ত্রী আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িতে যান। তিনি যাওয়ার পর সেখানে বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা বিক্ষুব্ধ হন। সে সময় তাঁরা মন্ত্রীকে বলেন, ‘আপনার আশপাশের যাঁরা আছেন, তাঁরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাঁরা সে সময় কয়েকজনের নামও বলেছেন। কিন্তু তাদের নামে মামলা হয়নি।’
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, এই সরকার গোয়েন্দা বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপির বিরুদ্ধে যত রকম অপপ্রচার চালানো যায়, তা করে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিডিয়ার কয়েকটি সংস্থাও এমন অপপ্রচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। গণমাধ্যমের সব সময় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা উচিত। যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করেন, তাহলে জনগণ কিন্তু তা মনে রাখেন। যখন সময় আসে, তখন কিন্তু সেগুলোর উপযুক্ত জবাব জনগণই দেন।