মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বিস্ময়কর ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকগুলো সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততার শেকল ভাঙ্গতে পারেনি, কিন্তু এমএফএস’ তা পেরেছে। দেশের সর্বস্তরের মানুষ ‘এমএফএস’ সেবা ব্যবহার করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। জনগণের কাছে এ সার্ভিস গ্রহণযোগ্যতাও পেয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীতে আইডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভূক্তি শক্তিশালী করণে এমএফএস’র ভূমিকা শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেও জনগণ যাতে সঞ্চয়ের ব্যবস্থা করতে পারে সে ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রয়জনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এতে যেমন জনগণের অংশগ্রহণ বাড়বে তেমসি এই সার্বিস অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় এবং আইডিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কাজী এম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান মনসুর, বিকাশের সিইও কামাল কাদির, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাহুল হক, সাবেক নির্বাহী পরিচালক লীলা রশিদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিয়া ফাউন্ডেশনের লিড গবেষক হোসাইন এ সামাদ।
ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিকতায় কাগজের নোটের দিন শেষ হয়ে আসছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রচলিত পদ্ধতিতে আর্থিক ব্যবস্থাপনার দিন ফুরিয়ে আসছে। সামনের পাঁচ বছরে বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থাপনা কোথায় যাবে আমরা কেউ জানিনা।’
তিনি বলেন, ‘দশের মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব। তবে এই মুদ্রা কাগজের নোট ছাড়া অন্যকোন ভাবে লেনদেনের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ভবিষ্যত গতিবিধি আয়ত্ব করে আমাদের সামনে এগুতে হবে।’ অনুষ্ঠানে বক্তারা ডিজিটার প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ভবিষ্যত প্রযুক্তির ওপর লাগসই গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
Leave a Reply