অনলাইন ডেস্কঃ বে-টার্মিনাল এবং ওয়াসার প্রকল্পসহ চট্টগ্রামে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে আলোচনা করেছে বিশ্বব্যাংকের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার (১ নভেম্বর) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক, অপারেশনস ম্যানেজার গেইল মার্টিন, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনের দিলসাদ দোসসানি, সিনিয়র ট্রান্সেপোর্ট স্পেশালিস্ট চেইক ডিয়াল্লো।
সভায় মেয়র রেজাউল করিম বলেন, চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন। ইতোমধ্যে কর্ণফুলী তলদেশের টানেল চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউনে’ পরিণত করবে।
বে-টার্মিনাল সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে লজিস্টিক্স খাতে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করতে হবে যার জন্য বে-টার্মিনাল প্রকল্পকে সফলভাবে সমাপ্ত করতে হবে। বে-টার্মিনাল চালু হলে শুধু বাংলাদেশ নয় বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাব। তবে, বে-টার্মিনাল হলে শহরে যে গাড়ির চাপ বাড়বে সে ব্যাপারেও প্রস্তুতি প্রয়োজন।
জবাবে মেয়র রেজাউল বলেন, টানেল ও বে-টার্মিনালের গাড়ির চাপের বিষয়টি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের মাধ্যমে পুরো শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঢেলে সাজাচ্ছেন। চট্টগ্রামের অবকাঠামো খাতের ব্যাপক বিনিয়োগ শিল্পায়ন বাড়াবে, সমৃদ্ধ করবে বৈদেশিক মুদ্রার আয়, কমাবে বেকারত্ব।
এসময় বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলটি ওয়াসার সুপেয় পানি ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে গৃহিত প্রকল্পে চসিকের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। চট্টগ্রামের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে পরিকল্পনাসহ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েও সভায় আলোচনা হয়।
সভায় অংশ নেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান।