অনলাইন ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মধ্যরাত থেকে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ভারি ও মাঝারি বর্ষণ। এ কারণে ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চল ও জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকাগুলো। আজ সোমবার (২৭ মে) ভোর থেকে একটানা চলছে বৃষ্টি। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কর্মব্যস্ত দিনের শুরুতে এমন বৃষ্টিতে নগরবাসী স্বস্তি পেলেও বিপাকে পড়েছেন পথচারী ও কর্মজীবী মানুষ। অনেকেই ঘণ্টাব্যাপী রাস্তার পাশে অপেক্ষা করছেন বৃষ্টি থামার। জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে।
সরজমিনে দেখা গেছে, নগরীর ইপিজেড, সল্টগোলা, বন্দর, নিমতলা, বারিক বিল্ডিং আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, জিইসি, ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, নতুন ব্রিজ, চকবাজার, পাঁচলাইশ এলাকার বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষণ শুরুর সময় চট্টগ্রামের অনেক এলাকায় অন্ধকার নেমে আসে। অনেক এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন ৮১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র করছে চসিক
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২০৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে টানা দেড় ঘণ্টা ভারি বৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা এমএইচএম মোসাদ্দেক বলেন, ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে চট্টগ্রামের ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী দুদিন টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। অতি ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও পাহাড়ধস হতে পারে।’
তথ্যসূত্র: সিভয়েস২৪