মোহাম্মদ সানিফ চৌধুরী, ফটিকছড়ি
ফটিকছড়ি মাইজভান্ডারে হযরত আহমদ উল্লাহ (ক:) বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে মেলা বসেছে মূলার। এই মূলাগুলো মূলত ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নের হালদার পাশ ঘেরা চড় এলাকায় চাষ হয়। প্রতি বছর সেখানকার কৃষকরা সযত্নে গড়ে তুলেন এই মূলা চাষ। এটা মূলত জাপানি বীজের মূলা। তবে এখানে ভান্ডারী মূলা নামেই বেশি প্রসিদ্ধ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর ফলন হয়েছে দেখার মতো। সেখান থেকে প্রায় শতকানিক কৃষক লাখকানিক টন মূলা তুলেছেন মাইজভান্ডারের ওরশে। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেলো, তারা মূলত মাইজভান্ডারের ওরশের জন্য এই মূলা চাষ করেন। তাই এটাকে ভান্ডারী মূলা বলা হয়।
ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেলো, গরুর মাংসের সাথে রান্না করে খেলে এই মূলা সবচেয়ে বেশি সু-স্বাদু হয় এবং খুশি হয়েও সাইজ বড় হওয়ায় অনেকে ক্রয় করেন। ফটিকছড়ির ঝংকার মোড় থেকে শুরু করে মাইজভান্ডার দরবারের প্রধান ফটক পর্যন্ত যতদূর যাবেন প্রায় তিন কিলোমিটার ধরে শুধু মূলার দোকান আর জমজমাট ক্রয়-বিক্রয়ের চিত্র অবলোকন করবেন। ভান্ডারী মূলা বিক্রি করে মাত্র ২ দিনে অনেকেই লাভ করছেন প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। বিশাল সাইজের মূলাগুলো ৩ থেকে ১০ কেজি পর্যন্তও হয়ে থাকে। চট্টগ্রামবাসীর পাশাপাশি উত্তর বঙ্গেও পৌছে যাচ্ছে এই ভান্ডারী মূলা।
Leave a Reply