মোঃ দিদারুল ইসলাম, পেকুয়াঃ
কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা এলাকায় দলীয় অন্তর্কলহে শহিদুল ইসলাম শওকত (৩৮) নামে শ্রমিক দলের এক নেতাকে দূবৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৬ আগস্ট সোমবার রাত ১০ টার দিকে শহিদুলকে দুবৃত্তরা চুরিকাঘাতে মারাত্বকভাবে জখম করার পর স্বজনরা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করলে সেখানে সে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মৃত্যুবরন করেন। শহিদুল পেকুয়া সদর পশ্চিম জোন শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে এবং সে ভোলাইয়াঘোনা এলাকার মৃত শফিউল আলমের ছেলে। এসময় আরো দুজন চুরিকাঘাতে আহত হন। আহত অন্যরা হলেন, নিহত শহিদুলের ভাই মোহাম্মদ শাকের (২৭) ও চাচাতো ভাই মোহাম্মদ তারেক (২৩)। আহত ব্যক্তিদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শ্রমিক দলের স্থানীয় নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ২৫ আগস্ট রোববার রাতে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে পেকুয়া সদর পশ্চিম জোন শ্রমিক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলামের কথা-কাটাকাটির সূত্র ধরে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনার পরদিন সকাল ১০টার দিকে কলহে লিপ্ত দুই পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে মীমাংসা করে দেন পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পেকুয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ। তিনি দুই পক্ষকে পরবর্তী সময়ে ঝামেলায় জড়ালে বহিষ্কারের হুমকিও দিয়ে রাখেন।
শ্রমিক দলের নেতারা জানিয়েছেন, সালিস বৈঠকের পর গতকাল রাত আটটার দিকে ভোলাইয়াঘোনা রাস্তার মাথায় সাজ্জাদুল ইসলামের এক চাচাতো ভাইকে মারধর করেন শওকত ও তাঁর ভাই শাকের। এ ঘটনার জের ধরে সাজ্জাদুল ইসলামের লোকজন দলবদ্ধ হয়ে শওকত, শাকের ও তারেকের ওপর আক্রমণ করেন। এতে তিনজনই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন ও আত্মীয়স্বজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শওকতকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছালে শওকত মারা যান।
পেকুয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, দুই দিন আগেও নিহত ও হামলাকারী ব্যক্তিদের মধ্যে চমৎকার সুসম্পর্ক ছিল। তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে খুনের মতো ঘটনাটি ঘটে গেছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘শ্রমিক দল নেতা শহিদুলকে কারা, কী কারণে এবং কেন খুন করেছে, আমরা তা বের করার চেষ্টা করছি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’