আজ ৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

পবিত্র কুরআনের আলোকে জেনে নিন মৃত্যু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য


অনলাইন ডেস্কঃ মৃত্যু নিশ্চিত, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অথচ বেশির ভাগ মানুষ এ বিষয়ে উদাসীন। একজন মুসলিমের করণীয় হলো, মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ করা এবং তার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকা। অনুরূপভাবে দুনিয়াতে থাকতে সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই পরপারের পাথেয় সঞ্চয় করা।

মানুষ মরণশীল। ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে স্থায়ী নয় কেউ-ই। দুনিয়ার টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব সবাইকে ছেড়ে একদিন পাড়ি জমাতে হবে ওপারে। যেখানে বন্ধু হবে না কেউ, হবে না শত্রুও।

নিজেকেই নিজের দায়িত্ব নিতে হবে। পবিত্র কুরআন শতাব্দীর পর শতাব্দী জীবন ও জগৎ সম্পর্কে কোটি কোটি মানুষের অন্তর্দৃষ্টি খুলে দিয়েছে, বদলে দিয়েছে ভেতর থেকে, খুলে দিয়েছে তাদের সম্ভাবনার দ্বার, দিয়েছে প্রশান্ত ও পরিতৃপ্ত জীবন। এই জীবনের সঙ্গে মৃত্যুও যে জড়িত তা-ও উল্লেখ আছে আল কুরআনে। শুধু কুরআনে নয়, হাদিসেও আছে মৃত্যু সম্পর্কে অনেক আলোচনা।

মৃত্যু সম্পর্কে পবিত্র কুরআন কী বলে?

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমরা নিজ নিজ কাজের প্রতিফল সম্পূর্ণভাবেই কিয়ামতের দিন পাবে…।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮৫; সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৫৭)

‘অতঃপর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহূর্তও বিলম্বিত কিংবা ত্বরান্বিত করতে পারবে না।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬১)

‘তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান আর তাঁর কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৫৬)

‘হে মুমিনরা, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফিল না করে। যারা এ কারণে গাফিল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।

আমি তোমাদের যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় করো। অন্যথায় সে বলবে, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরো কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা করো, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।’ (সুরা : মুনাফিকুন, আয়াত : ৯-১১)

‘মুমিনদের জন্য কি এখনো সে সময় আসেনি যে তাদের হৃদয় আল্লাহর স্মরণে বিগলিত হবে? তারা তাদের মতো যেন না হয়, যাদের আগে কিতাব দেওয়া হয়েছিল। তাদের ওপর সুদীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হয়েছে, অতঃপর তাদের অন্তঃকরণ কঠিন হয়ে গেছে। তাদের বেশির ভাগ পাপাচারী।’ (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ১৬)

‘আর যে স্বীয় রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে, নিশ্চয়ই জান্নাত হবে তার আবাসস্থল।’ (সুরা : নাজিয়াত, আয়াত : ৪০-৪২)

লেখক: শিক্ষাবিদ ও গবেষক
তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর