আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি জাপানে জনসংখ্যা কমে গেছে, পক্ষান্তরে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে। দেশটির ২০২২ সালের শুমারি বিশ্লেষণে বুধবার (২৬ জুলাই) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাপান সরকারের দেয়া তথ্যে জানানো হয়, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেই কম জন্মহারের সমস্যা চলছে। কিন্তু জাপানে সমস্যাটি তীব্র রূপ নিয়েছে। দেশটিতে গত ১৪ বছর ধরেই জনসংখ্যা কমছে।
বিশ্বে বয়স্ক জনসংখ্যার দিক থেকে মোনাকোর পর জাপানের অবস্থান। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সতর্ক করে বলেছেন, প্রান্তসীমায় থেকে সমাজ হিসেবে আমরা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবো কি না।
দেশটির আভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জরিপে দেখা গেছে, গত বছর জনসংখ্যা আট লাখ ৫২৩ জন কিংবা ০ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমেছে। প্রথমবারের মতো একই সঙ্গে ৪৭টি অঞ্চলে জনসংখ্যা কমেছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, ১৯৬৮ সালের পর কমে যাওয়ার এ গতি তীব্র রূপ নিয়েছে। ১৯৬৮ সাল থেকে সরকার জরিপ কাজ শুরু করে।
এদিকে জাপানে বিদেশী জনসংখ্যা রেকর্ড দুই লাখ ৮৯ হাজার ৪৯৮ জন কিংবা ১০.৭ শতাংশ বেড়েছে যা ২০১৩ সালের পর সর্বোচ্চ। জাপানে বিদেশীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৯ জন।
জাপানে অভিবাসন নীতি বেশ কঠোর। তবে শ্রম ঘাটতি মেটাতে দেশটি ধীরে ধীরে এসব নীতি শিথিল করছে। জাপানের ১২ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে গত বছর আট লাখেরও কম শিশু জন্ম নিয়েছে যা রেকর্ড শুরুর পর সর্বনিম্ন।
এদিকে বয়স্কদের যত্নে খরচ বেড়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিশিদা গত মাসে কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে সক্ষম জনগোষ্ঠীকে সমর্থন জোরদারে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন।
তথ্যসূত্র: বাসস