আজ ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাইজখার ইউনিয়নে টিসিবি’র ভোগ্যপণ্য বিতরণে অনিয়ম এর অভিযোগ।


আফছানা আক্তার জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা >>> কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি’র ভোগ্যপণ্য বিতরণে অনিয়ম এর অভিযোগ উঠেছে, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর বৌরি আবহাওয়া ও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি চলমান, এরই মধ্যে সকাল শুরু করে বিকাল পর্যন্ত, চান্দিনা উপজেলা ধীন ৯নং মাইজখার ইউনিয়নের, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় চলমান ছিল, এমন সময় নির্ধারিত সুলভ মূল্য কার্ডধারীদের বাদ দিয়ে, তাহাদের ইচ্ছে মতো পছন্দের মানুষ দের মাঝে পণ্য বিতরণ করেন, স্থানীয় বহিরাগত প্রভাবশালী কতিপয় লোকজন, স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণ করার নিয়ম থাকলে সেই নিয়ম অনুযায়ী তালিকা ভুক্তদের দেওয়া হয়নি তেল, ডাল ও চাল। ট্যাগ অফিসার, পুলিশ অফিসারের অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশারকে অবহিত না করে, ডিলার এবং সংশ্লিষ্টরা এমন অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজনের,মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ মানুষ সাথে কথা বলে জানা যায়, তালিকা অনুযায়ী তারা দীর্ঘদিন থেকেই টিসিবি’র পণ্য ক্রয় করে আসছেন,শনিবার সকালে এসে শুনতে পান টিসিবি’র সুলভ মূল্য কার্ড রেখে দিচ্ছেন একটি দলের স্থানীয় কিছু রাজনীতিক নেতা কর্মীরা, কর্মীরা নিজ পছন্দ মতো লোকজন কে শুধু জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপির মাধ্যমে পণ্য বিতরণ করছেন, যেটা নিয়ম বহির্ভূত,মেহার গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী (পঙ্গু) অহিদুর রহমান অভিযোগ করেন- আমি টিসিবি’র কার্ডধারী, সকালে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গেলে স্থানীয় কয়েক জন তার কার্ড রেখে তাকে পণ্য না দিয়ে বিদায় করে দেন,অন্যজন মেহার গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে মো. সফিক অভিযোগ করেন- ‘আমার কার্ড ফেরত দিয়েছে বিতরণ কারীরা ও আমাকে টি সি বি র মাল দিবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে উপস্থিত নেতাকর্মীরা,প্যানেল চেয়ারম্যান মো: আবুল বাশার এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন গত ৯ সেপ্টেম্বর আমাকে প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর আমাদের প্রথম মিটিং হয়,বিকেলে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্ত ও ছাত্র নামধারীরা ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুঁলিয়ে দেয়, চান্দিনা নির্বাহী কর্মকর্তা কে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পরিদর্শনে আসবেন বলে জানিয়েছে, সে পর্যন্ত তালা যাতে কেউ না খুলে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন, কিন্তু হিসাব সহকারী কামরুল ইসলাম আমার সাথে পরামর্শ না করে দুর্বৃত্তদের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে তালা খুলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, টিসিবি’র পণ্য কে গ্রহণ করলো, কে বিতরণ করছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না,তিনি আরও বলেন- সুবিধা ভোগীদের কাছ থেকে কার্ড রেখে দিয়েছেন বলে অনেকেই আমাকে জানিয়েছেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর টিসিবি’র মালা মাল এবং চাউল আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন দুষ্কৃতকারীরা,টিসিবি’র ডিলার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ বেশি বলে বিতরণের সুবিধার্থে সময় বাঁচাতে কার্ড রেখে দেওয়া হচ্ছে, এগুলোতে সিল, স্বাক্ষর দিয়ে পরে আবার সুবিধাভোগীদের কাছে ফেরত পাঠানো হবে জানান, চেয়ারম্যানের সাথে তার লোকজন যোগাযোগ করেছেন ও বিতরণের সময় ট্যাগ অফিসার ছিলেন বলে তিনি দাবি করেন,চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিয়া হোসেন জনান,আমি খবর পেয়েছি। নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর