আজ ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভাষাসৈনিক আবুল কালাম আজাদ এডুকেশন সোসাইটি গ্রন্হাগারের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত


অনলাইন ডেস্ক

চন্দনাইশ ভাষাসৈনিক আবুল কালাম আজাদ এডুকেশন সোসাইটি গ্রন্হাগারের উদ্যোগে ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ আট ফাল্গুন ১৪৩০ মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ভাষাসৈনিক আবুল কালাম আজাদ এডুকেশন সোসাইটি গ্রন্হাগারের সভাপতি শাহজাহান আজাদেরৌষ্ট সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার উদ্বোধক ছিলেন গ্রন্হাগারের উপদেষ্টা, হিফজুল কোরআন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ অধ্যাপক আবু ইউসুফ।প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ ওয়াজেদিয়া মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সহসভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান। প্রধান আলোচক ছিলেন লোকসাহিত্য ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক শামসুল আরেফীন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চন্দনাইশ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবিদুর রহমান বাবুল ,সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আলম, সাংবাদিক সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, রহমানিয়া জামে মসজিদ পরিচালনা পর্ষদ সেক্রেটারি নুরুল আলম ম্যানেজার, পটিয়া আরফা করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহেদুর রহমান,গাছবাড়িয়া রেজিস্ট্রি অফিসের এক্সট্রা মোহরার মো. টিপু সুলতান। গ্রন্হাগার সংগঠক জুবায়ের আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখে একুশে স্মারক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী যথাক্রমে প্রিতম নাথ, আতিকা তাবাচ্ছুম নাজিফা ও তাসমি বিনতে তসলিম প্রমূখ। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে সাহিত্যিক আহমদ ছফার বই বিতরণ করা হয়। সভায় বক্তারা বলেন, ভাষা শহিদেরা অমর। ভাষা আন্দোলন বাঙালির ইতিহাসে অনন্য মাইল ফলক। এর মাঝেই বাঙালির ন্যায্য অধিকার আদায় তথা বাংলাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ নিহিত রয়েছে। মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষায বীর বাঙালি বুকের তাজা রক্ত ও প্রাণ দিয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে । আর সালাম জব্বার রফিক বরকত শফিউর ও অহিউল্লাহদের আত্মদান তখনই সার্থক হবে যখন সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আর জ্ঞান অর্জন করতে হবে, বই পড়তে হবে। আর গ্রন্হাগারের উন্নয়নে সমাজের শিক্ষিত জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শাহজাহান আজাদ বলেন, ১৯৫২র ভাষাআন্দোলনে চট্টগ্রাম ও চন্দনাইশের অবদান ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। ভাষাসৈনিক প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম এর নেতৃত্বে অধ্যাপক সোলায়মান খান, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেকআবুল কালাম আজাদ ও তাঁর ভাই প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ সোলায়মান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তমুদ্দন মজলিস আহ্বায়ক চৌধুরী শাহাব উদ্দিন খালেদ প্রমুখ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু শেষোক্ত চার ভাষাসৈনিককে আজও কোন রাষ্ট্রিয় সম্মাননা দেয়া হয় নি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর