আজ ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

‘বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করছে মূল্যস্ফীতি, চলতি অর্থবছরেও জিডিপি অপরিবর্তিত থাকবে’


অনলাইন ডেস্কঃ মূল্যস্ফীতি, ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। এ কারণে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। গত অর্থবছরেও একই পূর্বাভাস দিয়েছিলো সংস্থাটি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এ তথ্য জানায় বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, আগামী ২০২৪-২৫ সালে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পরে। যদিও গত অক্টোবরে এটা ৫.৮ হওয়ার কথা বলেছিল ব্যাংকটি। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরো বেড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু যথাযথ সংস্কার পদক্ষেপ না নিলে অর্থনৈতিক দুর্বলতা আরো প্রকট হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি, ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তবে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে বলছে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে, জ্বালানির মূল্য সমন্বয়, রফতানি ভর্তুকি কমানো এবং মনিটারি পলিসি টাইট করা হয়েছে।

আরও পড়ুন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব জিডিপিতে

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হতে পারে। ব্যাংকে ঋণখেলাপির পরিমাণ অনেক বেশি। এ খাতে সংস্কার আনতে সহায়তা করতে প্রস্তুত বিশ্বব্যাংক। ব্যাংক মার্জারের ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করা উচিত। বাজারভিত্তিক বিনিময় হার করা উচিত। সব মিলিয়ে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ।’

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২৩-২৪ সালের আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ শতাংশ। আর ২০২৪-২৫ সালে তা ৬.১ শতাংশ হবে। ভারত, বাংলাদেশ এতে মূল ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার অবস্থারও উন্নতি হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। পাকিস্তানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হবে ১.২ শতাংশ। এছাড়া ভুটানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, নেপালে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ২ শতাংশ, মালদ্বীপে ৪.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর