স্পোর্টস ডেস্ক
শুরুতে ব্যাটাররা এনে দিলেন লড়াই করার ভিত। হাফ সেঞ্চুরি পেলেন রোহিত শর্মা, সূর্যকুমারের সঙ্গে তার জুটিতে আসে বড় সংগ্রহের ভিত্তিও। পরে বোলাররা কাজ সারেন বাকিটা। বৃহস্পতিবার রাতে ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানে হারিয়েছে ভারত। শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে তারা। পরে ওই রান তাড়া করতে নেমে ১৬ ওভার ৪ বলে ১০৩ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা।
বৃষ্টির কারণে টস হয় দেড় ঘণ্টা দেরিতে। সেটিতে হেরে ব্যাট করতে নেমে আরও একবার বিরাট কোহলিকে নিয়ে ওপেনিংয়ে নামেন রোহিত শর্মা। পুরো টুর্নামেন্টের মতো এদিনও ব্যর্থ হন কোহলি। ৯ বলে ৯ রান করে রিচ টপলির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এর আগে তিনবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলে প্রতিবারই হাফ সেঞ্চুরি ছুুয়েছিলেন তিনি, পারেননি এবার।
একদিকে রোহিত শর্মা দারুণ খেললেও আরেকদিকে উইকেট হারায় ভারত। ঋষভ পান্ত ফেরেন পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার চার বল আগে। ৬ বলে ৪ রান করে স্যাম কারানের বলে মিডউইকেটে দাঁড়ানো জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ৪৬ রান করে ভারত।
পান্ত ফেরার পর সূর্যকুমারের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন রোহিত। কিন্তু এর মধ্যেই নেমে আসে বৃষ্টি। এক ঘণ্টার বেশি সময় খেলা বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়। এরপরও জুটি অবিচ্ছিন্ন থাকে সূর্য ও রোহিতের। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ভারতীয় অধিনায়ক। স্যাম কারানের বলে মারা ছক্কায় এ ম্যাচে নিজের ফিফটির সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের পঞ্চাশতম ছক্কাটিও হাঁকান তিনি।
রোহিতের সঙ্গে সূর্যের ৫০ বলে ৭৩ রানের জুটিটি ভাঙেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৭ রান করে বোল্ড হয়ে যান রোহিত। এই উইকেটের মধ্যে দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়ে যান রশিদ। তার উইকেট ৩১টি, স্টুয়ার্ট ব্রডের ৩০টি।
রোহিতের ফেরার এক ওভার পর ফিরে যান সূর্যকুমারও। ৩৬ বলে ৪৭ রান করে জফরা আর্চারের বলে লং অনে দাঁড়ানো ক্রিস জর্ডানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর উইকেটে এসে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন হার্দিক।
১৮তম ওভারে ক্রিস জর্ডানকে টানা দুটি ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টানা দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে আবার ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তিনিই। প্রথমে ১৩ বলে ২৩ রান করা পান্ডিয়া ক্যাচ দেন জর্ডানের হাতে। পরের বলেই উইকেটের পেছনে শিভাম দুবের ক্যাচ নেন জশ বাটলার।
শেষদিকে নেমে ৬ বলে ১০ রান করেন অক্ষর প্যাটেল। ৯ বলে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু ২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে বাটলার আউট হলে। ১৫ বলে ২৩ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপরই শুরু হয় ইংল্যান্ডের দুর্গতির।
একের পর এক ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন। এর মধ্যে ১৯ বলে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন হ্যারি ব্রুক, কুলদ্বীপের বলে বোল্ড হন তিনি। এছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন দুজন। ১৫ বলে ২১ রান করেন আর্চার, ১৬ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান আর্চার। ভারতের হয়ে তিন উইকেট করে পান কুলদ্বীপ ও অক্ষর।